সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ ইসরায়েল। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার রাজমহল থানার মাখানি এলাকায়। ধৃতের কাছ থেকে চুরি যাওয়া এক জোড়া সোনার বালা, কানের এক জোড়া দুল, এক জোড়া পলা বাঁধানো, একটি সোনার হারও উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভিড় ট্রেনে যাত্রীদের প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখে ঝাড়খণ্ড গ্যাংয়ের ‘হাইস্পিড’ সদস্যরা। এদের ‘হাইস্পিড’ বলার কারণ, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যাত্রীদের ব্যাগ থেকে টাকা, সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিতে এরা অত্যন্ত দক্ষ। ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না যাত্রীরা। এত কম সময়ে এরা কাজ হাসিল করে, যা ম্যাজিককেও হার মানাতে পারে। মূলত, কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখার বিভিন্ন ভিড় ট্রেনগুলিকে এরা টার্গেট করে।
জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানা এলাকার বিলোল এলাকার বাসিন্দা মৌসুমী খামারু। তিনি ২৪ মে ট্রেনে ওঠেন। কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখার খাগড়াঘাট থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন সালার আসবেন বলে। অভিযোগ, মৌসুমীদেবী টিঁয়া স্টেশনে এসে লক্ষ্য করেন তাঁর ব্যাগ থেকে সোনার সব গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কাটোয়া জিআরপি’র কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। জিআরপি তদন্তে নেমে জানতে পারে, চুরির সঙ্গে যুক্ত ঝাড়খণ্ড গ্যাং। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২৫ মে ইসরায়েলকে গ্রেপ্তার করে জিআরপি। দু’দফায় তাকে পুলিস হেফাজতে নিয়ে চুরি যাওয়া গয়না বাজারশাউ এলাকার একটি ডেরা থেকে উদ্ধার করা হয়।
জানা গিয়েছে, এক-একটি ঝাড়খণ্ড গ্যাংয়ে তিন থেকে চারজন করে সদস্য থাকে। তাদের মধ্যে একজন যাত্রীর ব্যাগ সাফাইয়ের কাজ করতে থাকে। বাকিরা তাকে ঘিরে গার্ড দেয়। দ্রুত কাজ সেরে পরের স্টেশনে নেমে পড়ে। বিহার থেকে হাওড়া আসা একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে আগে ঝাড়খণ্ড গ্যাংয়ের সদস্যদের দেখা মিলত। এখন ওই ট্রেনগুলিতে লাগাতার ধরপাকড়ের জেরে তারা রুট বদল করেছে। এখন ছোটখাটো জংশন স্টেশনের রুটে আসতে শুরু করেছে। হাওড়া ডিভিশনের অন্তর্গত কাটোয়া স্টেশনের উপর দিয়ে বহু দৈনিক এবং সাপ্তাহিক আন্তঃরাজ্য এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। কাটিহার এক্সপ্রেস, কামরূপ এক্সপ্রেস, তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস, কামাক্ষ্যা-পুরী, গরিব রথ এক্সপ্রেস, হাটে-বাজারে এক্সপ্রেস, রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, বালুরঘাট এক্সপ্রেস কাটোয়া স্টেশনের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। এই ট্রেনগুলি উত্তরবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অসম প্রভৃতি রাজ্যের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে। আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতীরা এই করিডর দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। এর আগেও পুলিসের কাছে এই শাখায় বেশ কিছু দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হয়েছে। তাই এই শাখার ট্রেনগুলিতে নজরদারি চালানোর জন্য সতর্ক রয়েছেন জিআরপি’র অফিসাররা।