সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
মোট ১৩টি পানীয় জলের কল ছিল হাসপাতাল চত্বরে। তারমধ্যে পাঁচটি কল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের মানসিক বিভাগের সামনে আটটি কল ছিল। তারমধ্যে চারটি কল থেকে জল মিলছে। বাকিগুলি বিকল। ফলে, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পানীয় জল নেওয়ার জন্য সেখানেই লম্বা লাইন পড়ছে রোগীর পরিজনদের। হাসপাতালে শুধু বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও পরিজনেরাই শুধু নয়, হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর পরিজনেরাও ওই কল থেকেই জল পান করেন। সেই জল নিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় রোগীর কাছে পরিজনরা নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছতে পারছে না। যাঁরা পানীয় জল নেওয়ার লাইনে দাঁড়াতে পারছেন না তাঁদের হাসপাতাল চত্বরের বাইরে থেকে জল আনতে হচ্ছে। রোগীর এক আত্মীয় বলেন, এই হাসপাতাল রাজ্যের অন্যতম হাসপাতাল বলে পরিচিত। শুধু জেলা নয়, ভিন জেলা এবং রাজ্য থেকেও এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন অনেকে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে হাজারেরও বেশি রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন এখানে। এছাড়াও ভর্তি থাকা রোগীর পরিজনের সংখ্যাও কম নয়। সেখানে চারটি মাত্র কলের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। তারফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। আর এক রোগীর আত্মীয় শেখ সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি বর্ধমান হাসপাতালে মায়ের চিকিৎসা করাতে আসি। তীব্র গরমের মধ্যে জল নিতে গিয়ে দেখি কলের সামনে দীর্ঘ লাইন। তখন আমি বাইরে থেকে জল কিনে এনে মায়ের জল তেষ্টা মেটাই। হাসপাতাল চত্বরের কলগুলি সারানোর ব্যবস্থা করলে আমাদের মতো রোগীর পরিজনদের উপকার হয়।
এবিষয়ে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসক কৌস্তভ নায়েক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা হবে।