সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
দুর্গাপুর-আসানসোল পুলিস কমিশনারেটের ডিসি অভিষেক মোদি বলেন, পড়ুয়ার ভর্তির বিষয় সবদিক যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে। তার পরই টাকা জমা করুন। ভুয়ো ওয়েবসাইটের ফাঁদে পড়ে একবার টাকা দিয়ে দিলে তা ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।
সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা আসানসোলের এক গৃহবধূ তাঁর মেয়েকে আইন পড়াতে চান। রাজ্যের কোনও ল’ কলেজে ভর্তি করাতে প্রচুর হ্যাপা। তিনি চেয়েছিলেন ভিন রাজ্যের কোনও প্রতিষ্ঠিত কলেজ থেকে আইনের ডিগ্রি নিয়ে ঘরে ফিরুক মেয়ে। ওয়েবসাইটে সার্চ করে পছন্দের সেই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ দেখে আর দেরি করেননি তিনি। পাঁচ বছরের মধ্যে আইনে মাস্টার ডিগ্রি। খরচ মাত্র সাড়ে তিন লক্ষ! এমন প্রস্তাব দেখেই ৭০ হাজার টাকা দিয়ে মেয়ের ভর্তির জন্য আসন নিশ্চিত করেন মা। পরে জানতে পারেন, পুরো ভর্তি প্রক্রিয়াটিই ভুয়ো। কলেজ থেকে জানানো হয়, এধরনের কোনও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। অবশেষে তিনি দ্বারস্থ হন আসানসোল সাইবার থানায়।
একই ভাবে আসানসোলের আর অভিভাবক ছেলেকে ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ভর্তি করার জন্য দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। তিনিও সাইবার থানায় অভিযোগ করেছেন বলে সূত্রের খবর। সবমিলিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে সব মহলেই। পুলিস ইতিমধ্যেই সতর্ক করার কাজ শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, ফোন বা ইমেল করে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনে টাকা পাঠানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
ছাত্রজীবনে এ ধরনের প্রতারণার অভিঘাতও ভয়ঙ্কর। শিক্ষক মহলের মতে, অললাইনে টাকা পাঠিয়ে সবাই ভাবেন ভর্তি নিশ্চিত। পড়ুয়ারা ক্লাস শুরুর অপেক্ষায় বসে থাকেন। পরে তাঁরা যখন জানতে পারবেন পুরো ভর্তি প্রক্রিয়াটি ভুয়ো ছিল, তখন অন্য কোথাও ভর্তির রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পুলিসের পরামর্শ, যাঁরা নামকরা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সববিস্তার খোঁজখবর নিন।
অন্যদিকে, চাকরি দেওয়ার নাম করেও প্রতারণার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। টার্গেট করা হচ্ছে গৃহবূধদের। খুব অল্প টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে প্রতারকরা। অনেকেই তা বিশ্বাস করে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। পরে সেই টাকা ফেরত পেতেই জুতোর শুকতলা ক্ষয়ে যাচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, অনলাইনে পেমেন্ট করা টাকা একবার এটিএমের মাধ্যমে নগদ হয়ে বেরিয়ে গেলে তা ফিরিয়ে আনা কার্যত অসম্ভব।