শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
তবে, পুজোর পরেই এই অভিনব কর্মসূচি শুরু করছে প্রশাসন। প্রশাসনিক কর্তা থেকে জনপ্রতিনিধি সবাইকে গ্রামে গিয়ে থাকতে হবে। এলাকায় গিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এরপর যে গ্রামগুলি পিছিয়ে রয়েছে, সেগুলি চিহ্নিত করে একজন আমলা বা উচ্চপর্যায়ের জনপ্রতিনিধিকে দায়িত্ব নিয়ে মডেল ভিলেজ বানাতে হবে। এমন ৫০টি মডেল ভিলেজ গড়ার কাজ চলতি বছরেই করতে চান প্রশাসনিক কর্তারা।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, আমরা দ্রুত সরকারি প্রকল্পের কাজগুলি শেষ করতে চাই। যাতে আরও নতুন কাজ করা যায়। এছাড়া উন্নয়নের জন্য পুজোর পরই গ্রাম পরিদর্শন শুরু হবে। সেখানে গিয়ে আমরা এলাকায় থেকে সমস্যা সমাধান করব। পিছিয়ে পড়া গ্রামগুলিকে মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে এক-একজনকে দায়িত্ব নিতে হবে।
২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে গ্রাম দত্তক নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সহ তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্যই এক একটি গ্রামকে উন্নত করার দায়িত্ব নেন। সেই অনুসারে আসানসোলের সংসদ সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও সালানপুর ব্লকের সিদাবাড়ি গ্রাম দত্তক নেন। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, সেভাবে কোনও উন্নয়নই হয়নি গ্রামে। এবার অনেকটা সেই আদলেই গ্রাম গঠনের কাজে নামছে জেলা প্রশাসন। তবে শুধু প্রচার নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে অনেক সময় রাত কাটিয়ে পিছিয়ে পড়া গ্রামকে চিহ্নিত করবেন প্রশাসনের কর্তারা। অলীক কল্পনা নয়, বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়েই সেই কাজ হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তিনমাস আগে জেলাশাসকের নেতৃত্বে এধরনের একটি বৈঠক হয়। সেখান থেকে বর্তমানে অবস্থা অনেক উন্নতি হলেও এবারও বেশকিছু পঞ্চায়েত ও ব্লকের খারাপ পারফরমেন্স নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন জেলাশাসক ও সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি। বিশেষ করে চতুর্থ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে অনেকে পিছিয়ে রয়েছে। একইভাবে বাংলা আবাস যোজনা ও শৌচালয় নির্মাণে আগের তুলনায় গতি এলেও লক্ষ্যপূরণ না হওয়ায় তা ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার সময় সীমা বেঁধে দিয়েছেন জেলাশাসক। একশো দিনের কাজের যে লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্র দিয়েছিল, তা পূরণ হয়ে গিয়েছে। ২৪ লক্ষ কর্মদিবস সৃষ্টি হয়েছে। আরও ২৪ লক্ষ কর্মদিবস দেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছে রাজ্য। কিন্তু এবার শ্রমিক পিছু কর্মদিবস বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসার আগে একশো দিনের কাজ করা প্রত্যেকের যেন ৫৫দিন করে কাজ হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এতদিন বেশি লোককে কাজ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। একজনকে বেশি কাজ দিয়ে জনপ্রতি কর্মদিবস বাড়াতে হবে।
এদিন জেলাশাসক স্পষ্ট জানান, তথ্য মিত্র কেন্দ্রের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা বাংলা সহায়তা কেন্দ্র গড়ছি। সেখানেই বিনা খরচে সব ধরনের সুবিধা মিলবে। জেলায় ৭৬টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলা হবে। এদিনের বৈঠকে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও পুলিস কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন উপস্থিত ছিলেন।