শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সআইডি জানতে পেরেছে, টিটাগড়ের বিজেপি মণীশ শুক্লা খুনের মূল অভিযুক্তের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে। তাকে নিয়ে কয়েক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিআইডির টিম। বিজেপি নেতাকে খুনে জড়িত গ্যাংটি কলকাতার বাগুইআটি থানার কৃষ্ণপুরে ঘরভাড়া নিয়ে ছিল। সেখান থেকেই তারা স্বর্ণবন্ধকী সংস্থায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে। সেখান থেকে তারা পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকায় এসে ওঠে। স্বর্ণবন্ধকী সংস্থায় ডাকাতি করে দু’টি দলে ভাগ হয়ে তারা চম্পট দেয় বলে সিআইডি জেনেছে। গ্যাংটি শিলিগুড়ি, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানে বিভিন্ন স্বর্ণবন্ধকী সংস্থায় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। সাধারণত ডাকাতি করা সোনা নেপালে তারা বিক্রি করে। এছাড়াও গোয়ায় তারা ডাকাতির সোনা বিক্রি করেছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
গ্রেপ্তার হওয়া সঞ্জয় গ্যাংটির বিষয়ে অনেক তথ্য দিতে পারে বলে গোয়েন্দাদের অনুমান। পাটনা থেকে তাকে বৃহস্পতিবার বর্ধমানে আনা হয়। এদিনই তাকে স্বর্ণবন্ধকী সংস্থায় ডাকাতির মামলায় আদালতে পেশ করা হয়। সিআইডির ডিআরবিটি সেলের সাব-ইন্সপেক্টর অরিজিৎ ভট্টাচার্য ধৃতকে ১১ দিন হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানান। ধৃতকে ১০ দিন সিআইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম সুজিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিআইডি জানিয়েছে, গত ১৭ জুলাই বর্ধমানে স্বর্ণবন্ধকী সংস্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তারক্ষীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ও কর্মীদের ভয় দেখিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে স্ট্রং রুম থেকে ৩০ কেজি ২০৫ গ্রাম ২০ মিলিগ্রাম সোনার গয়না নিয়ে নেয়। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে শহরের সরাইটিকরের বাসিন্দা হীরামন মণ্ডলকে গুলি করে তারা। তদন্তে নেমে সোনার ব্যাগে জিপিআরএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে ডাকাত দলের গতিবিধি জানতে পারেন গোয়েন্দারা। কয়েকদিন ধরেই সিআইডির একটি বড় টিম বিহার ও ঝাড়খণ্ডে রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা।