শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী জেলার পুজোর উদ্বোধন করবেন বলে এদিন সকাল থেকেই দুই বর্ধমানে ছিল সাজসাজ রব। ভার্চুয়াল মাধ্যমে যাতে কোনও ত্রুটি না হয় সেদিকে সজাগ ছিল পুলিস ও প্রশাসন। পুজো উদ্যোক্তারাও যতটা সম্ভব মুখ্যমন্ত্রীর সামনে নিজেদের প্রতিমা ও মণ্ডপকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। বিকেল ৪টের সময় মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। প্রতিটি পুজো মণ্ডপে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব বর্ধমান জেলায় এদিন সাতটি পুজোর উদ্বোধন করেন। তার মধ্যে বর্ধমান শহরে সবুজ সঙ্ঘ দুর্গাপুজো কমিটি এবং বড়নীলপুর মোড়ের লাল্টু স্মৃতি সঙ্ঘ দুর্গাপুজো কমিটির উদ্বোধন করেন। সবুজ সঙ্ঘের উদ্বোধনে জেলাশাসক বিজয় ভারতী এবং পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শক্তিগড় থানার বড়শুল জাগরণী পুজো কমিটি, মেমারি সারদাপল্লি অরবিন্দপল্লি রিক্রিয়েশন ক্লাব পুজো কমিটি, কালনার যোগীপাড়ায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ড বারোয়ারি ব্যবসায়ী সমিতি, এবং কাটোয়ার জাজিগ্রাম মোড়ের নবোদয় সঙ্ঘ সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি এবং নাদনঘাটের নসরৎপুর রেলব্রিজ সংলগ্ন ইন্দ্রপল্লি বারোয়ারি পুজো কমিটি উদ্বোধন করবেন। ইন্দ্রপল্লির উদ্বোধনে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মেমারির সারদাপল্লিতে হাজির ছিলেন বিধায়ক নার্গিস বেগম সহ অন্যান্যরা।
উদ্বোধনের পর জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাতটি পুজোর উদ্বোধন করলেন। আজ থেকেই পুজো শুরু হয়ে গেল। পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, আজ থেকেই পুলিস মোতায়েন শুরু করা হয়েছে। পর্যাপ্ত মহিলা কনস্টেবলও রয়েছে। এবার পুজোর সময় বর্ধমান শহরে ছোট গাড়ির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। আমরা সকলকে স্বাস্থ্যবিধি নামতে অনুরোধ করছি। মাস্ক পরতেই হবে।
একই সঙ্গে এদিন পশ্চিম বর্ধমানের ন’টি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আসানসোল আপকার গার্ডেনের পুজোর উদ্বোধনে পুলিস কমিশনার সুকেশ জৈন ও জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি উপস্থিত ছিলেন। পুজো উদ্যোক্তা সুদেষ্ণা ঘটক বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পুজো উদ্বোধন করেছেন এটা আমাদের কাছে সারাজীবন গর্ব হয়ে থাকবে। আমরা সবাই আপ্লুত। এদিন দুর্গাপুরের অগ্রণী এবং নবারুণ ক্লাবেরও পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইভাবে আসানসোলের কল্যাণপুর কে সেক্টর সহ রানিগঞ্জ, পানাগড়, কুলটি ও দোমোহনির একটি করে পুজো উদ্বোধন করেন তিনি। এদিন পুলিস কমিশনার আসানসোলের কল্যাণপুর সহ একাধিক জায়গায় পুজো মণ্ডপগুলি পরিদর্শন করেন। স্বেচ্ছাসেবকরা বহু মানুষে সংস্পর্শে আসবেন, তাই তাঁদের মাস্কের পাশাপাশি ফেসশিল্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন।