বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা আটকে পড়েন। কাজ হারিয়ে তাঁরা সেখানে গৃহবন্দি ছিলেন। জমানো টাকা শেষ হওয়ায় বাড়ি ফেরার জন্য তাঁরা মরিয়া হয়ে ওঠেন। এরপরেই ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা দলে দলে নিজের এলাকায় আসেন। কেতুগ্রাম-১ ব্লকেও ভিন রাজ্য থেকে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক নিজের বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু নতুন করে কাজ পাওয়া নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন অনেকেই। যদিও রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট হয়েছে। অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে পরিযায়ীরাও ১০০ দিনের কাজ পাওয়ায় তাঁদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে।
এবিষয়ে কেতুগ্রাম-১ বিডিও বনমালি রায় বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই রেখেছিলাম। তারপর যাঁদের সেখানে থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হচ্ছে। যেসব পরিযায়ী শ্রমিকের জব কার্ড নেই, তাঁদের যাতে কার্ড দেওয়া যায় তার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ব্লকে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক মুম্বই, গুজরাত, কেরল, মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরেছেন। কেতুগ্রাম-১ ব্লকের আটটি পঞ্চায়েতেই এই শ্রমিকদের ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হচ্ছে।
ব্লকের আগরডাঙা পঞ্চায়েতের আরনা গ্রামের বাসিন্দা সফিউল হক মুম্বইতে মুরগি বিক্রি করতেন। তিনি বলেন, তিন সপ্তাহ আগেই আমি গ্রামে ফিরে এসেছি। তারপর পঞ্চায়েত থেকে আমাকে ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হল। অন্ততপক্ষে সংসারটা কোনওরকমে চলে যাবে। আর এক পরিযায়ী শ্রমিক আয়ূষ শেখ বলেন, কাজ পাওয়ায় সংসার চালানোর চিন্তা দূর হয়েছে। কেরল ফেরত বরুণ সাহা বলেন, কেরলে পাইপলাইনে কাজ করতাম। লকডাউনের জন্য কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামে ফিরে এসেছি। এখানে এসেই আমাকে ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হয়েছে। আমাদের খুব উপকার হল।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সইদুল ইসলাম বলেন, বিধায়কের নির্দেশ মতোই আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০০ দিনের কাজে নিয়েছি। অনেক পরিযায়ী শ্রমিক কাজে আসায় আমাদের কাজও এগচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে কেতুগ্রাম-১ ব্লকে শ্রমদিবস তৈরি হয়েছিল ৮ লক্ষ। এবার ২০২০-২১ আর্থিক বছরে সেই লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ১৬ লক্ষ। ব্লকের মোট জবকার্ড আছে ৩১ হাজার ৬২২টি। বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ বলেন, ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে আর্দেন স্টেডিয়াম, পুকুর সংস্কারে জোর দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন, এর থেকে আনন্দের কিছু হয় না।