বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
জানা গিয়েছে, রাজ্যে দেশীয় প্রজাতির ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। এই প্রজাতির ছাগল প্রতিপালনে কম খরচে আয় অনেক বেশি হয়। পাশাপাশি বিখ্যাত ‘মরক্কো’ চামড়া ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট থেকেই পাওয়া যায়। তাই রাজ্য সরকার এই প্রজাতির ছাগল প্রতিপালনে জোর দিচ্ছে। কাটোয়ার জগদানন্দপুরের হোগলা গ্রামেই এই প্রজাতির ছাগল প্রতিপালনের খামার তৈরি করা হচ্ছে। হোগলা গ্রামে প্রায় ১০ কাঠা জায়গার উপর এই খামার তৈরি করা হচ্ছে। খামার তৈরির কাজও পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে।
এবিষয়ে কাটোয়া-২ ব্লকের বিডিও শমীক পাণিগ্রাহী বলেন, এই প্রজাতির ছাগল প্রতিপালনে আয় খুব বেশি হয়। তাই আমরা পরিকল্পনা করেছি ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই এই বাংলার কালো ছাগলের খামার পরিচালনা করবেন। তারজন্য তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতে গ্রামের মহিলারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক দীপ্তিময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই ছাগল প্রতিপালনের জন্য ১০ কাঠা জায়গার উপর শেড তৈরি করা হচ্ছে। ব্লকের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর এবং এমজিএনআরইজিএস দপ্তরের যৌথ উদ্যোগেই এই প্রকল্প গড়ে উঠছে। তবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই খামার প্রতিপালন করবেন। পঞ্চায়েত থেকে ছাগল প্রতিপালনের জন্য উপভোক্তাদের যে ছাগল দেওয়া হয়, এবার এখান থেকে এই প্রজাতির ছাগল ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েতে দেওয়া হবে। পাশাপাশি খামার থেকে ছাগল বাইরেও বিক্রি করে আয় করতে পারবেন মহিলারা। খামারে প্রাথমিকভাবে ১৫০টি ছাগল প্রতিপালন করা হবে। ব্লকের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর ওই ছাগল দেবে।
কালো ছাগল এরাজ্য এবং সমগ্র বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়। দেশে প্রায় ২০-২২টি প্রজাতির ছাগল রয়েছে। তাদের মধ্যে কোনওটি দুধ বা কোনওটি মাংস উৎপাদনে সক্ষম। তবে এরাজ্যের কালো ছাগলের চামড়া বিখ্যাত মরক্কো চামড়া উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এই প্রজাতির ছাগলের মাংস খুবই উৎকৃষ্টমানের। এরা দু’বছরে প্রায় তিনবার ২-৩টি করে বাচ্চার জন্ম দেয়। এই ছাগল প্রতিপালনের জন্য খুব একটা সমস্যা হয় না। পরিষ্কার ও শুকনো আলো বাতাসযুক্ত জায়গার দরকার হয়। তবে প্রসবের ঘর এবং অসুস্থতার জন্য আলাদা শেড তৈরি করতে হবে। নিয়মিত পরিচর্যার প্রয়োজন। যেমন সময়মতো বিভিন্ন রোগের টিকা দেওয়া, কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। তাছাড়া ঘাস, গাছের পাতা, দানা জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। এই প্রজাতির কালো ছাগলের গড় ওজন হয় ১০ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়। বাজারে কালো ছাগলের দামও ভালোই পাওয়া যায়। কাটোয়া মহকুমায় এই প্রজাতির বড় খামার তৈরি হলে বাজারে এর জোগান দেওয়া যাবে ভালোই। মাংসের উৎপাদনও বাড়বে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।