বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
সুশান্তবাবু বলেন, প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ। কবে আবার সব স্বাভাবিক হবে, কারও জানা নেই। আমরা আর বসে থাকতে চাইছি না। বিকল্প পথ খুঁজছি সকলে। করোনা পরিস্থিতিতে একদিকে ভয়ঙ্কর আর্থসামাজিক সংকট অন্যদিকে জটিল মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। হঠাৎ করে বদলে যাওয়া জীবনে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছেন। যা থেকে জন্ম নিচ্ছে নিঃসঙ্গতা, হতাশা, অস্তিত্বের সংকট। ইতিমধ্যে আমাদের জেলার তরুণ নাট্যকর্মী প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী মানসিক হতাশায় আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এই দুঃসময়ে অত্যন্ত জরুরি হল, মানসিকভাবে একে অপরের পাশে থাকা। সেই বার্তা নিয়েই নির্মিত হয়েছে এই ছবি। উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত নাট্যকর্মীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে। ওপার বাংলার ইকবাল হাসান তুহিনও অংশ নিয়েছেন এই নাটকে। দু’দেশের একইরকম অবস্থা।
‘হতোস্মি’তে করোনার জেরে আর্থিক এবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত এক নাট্যকর্মীর আত্মহত্যার চেষ্টাই ফুটে উঠেছে। কৃষ্ণনগরের আরেক নাট্য সংস্থা ‘পরম্পরা’র পক্ষে শিবনাথ ভদ্র বলেন, নাট্যকর্মীদের অবস্থা খুবই খারাপ। সব স্বাভাবিক হলেও এই জগৎ ঠিক হতে অনেক সময় লাগবে। তারপর মানুষ আবার কবে নাটক দেখতে আসবে, সেটাও প্রশ্ন। অনেকেই শুধু থিয়েটার নাটক করেই সংসার চালান। তাঁদের অবস্থা খুবই খারাপ।
নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বগুলা, ধুবুলিয়া, শান্তিপুর, নবদ্বীপ, তেহট্ট, করিমপুরে বহু নাটকের দল রয়েছে। বহু শিল্পীর নেশার পাশাপাশি একেই পেশা করে এগিয়ে গিয়েছেন। নাট্যকর্মীরা বলছেন, তাঁদেরই একজন ছিলেন রানাঘাট ছোট বাজার এলাকার ৩৩ বছর বয়সি প্রসেনজিৎ। রেল ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন তিনি। তেহট্টের ‘অঙ্গীকার গোষ্ঠী’র পক্ষে শুভব্রত রায় বলেন, কীভাবে এই অবস্থার থেকে বেরিয়ে আসব, আমরা নিজেরাই বুঝতে পারছি না। আমরা দিশাহারা। সিনেমা, সিরিয়ালের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারলেও আমাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, বুঝতে পারছি না। মে মাসে একটি নাট্য উৎসব করার কথা ছিল, সেটাও আমরা করতে পারিনি।