মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
বিজেপি সূত্রের খবর, পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করে যেখানে যা করার করা হয়েছে। তবে সবটাই হয়েছে নিয়ম মেনে। নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই মণ্ডল সভাপতিরা নির্বাচিত হয়েছেন। বিজেপির এই নির্বাচন ঘিরে জায়গায় জায়গায় অশান্তি দেখা দিলেও নদীয়ায় অবশ্য তা হয়নি। দলীয় সূত্রের খবর, অনেক জায়গাতেই বিজেপি কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।
নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, একেবারে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের মণ্ডল সভাপতিরা নির্বাচিত হয়েছেন। সামান্য অশান্তি কোথাও হয়নি। ৩৫জনের মধ্যে ১৪জন নতুন মণ্ডল সভাপতি হয়েছেন। বাকিরা নির্বাচনে জিতে আগের পদে রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, চাপড়ার বেবিনা খাতুন। ওঁর মতো একজন সংখ্যালঘু মুখ সামনে আসায় আমরাও খুশি।
বিজেপি সূত্রের খবর, ৩৫টির মধ্যে দু’টি ক্ষেত্রে নির্বাচন হয়নি। ৩৩জন মণ্ডল সভাপতির মধ্যে ১৯জন আগের মণ্ডল সভাপতি রয়েছেন। নিচুতলায় বেশ কয়েকজন মণ্ডল সভাপতির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন ছিল জেলা কিংবা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তা অজানা নয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ আগেই বলেছেন, কেন দলের হার হয়েছে সেটা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। আরও পর্যালোচনা হবে। কর্মীদের সঙ্গে আরও কথা বলব। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলব। যাঁদের কাছে ভোট চাইতে গিয়েছিলাম, তাঁদের সকলে কেন আমাদের ভোট দেননি, সকলের সঙ্গে কথা বলে সেটা বোঝার চেষ্টা করব।
মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তনের কারণ হিসেবে একাধিক বিষয় সামনে আসছে। রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বও বলছেন, হারের কারণ সম্পর্কে বিশ্লেষণ চলছে। এরই মধ্যে যে পরিসংখ্যান সামনে আসছে তা দেখে বিজেপি নেতাদের একাংশ শিকার করছেন, সাংগঠনিক সংস্কার না করলে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেকটাই কঠিন হবে। সে কারণেই অনেক ভেবে চিন্তেই একাধিক জায়গায় বদলের ইঙ্গিত নির্বাচনের আগেই মিলেছিল। যদিও জেলা বিজেপির এক নেতা বলেন, আদতে নির্বাচন বলা হলেও এক্ষেত্রে আলোচনার সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বে নির্দেশে সভাপতি হয়ে থাকে। তবে সকলের সহমতের ভিত্তিতেই যাতে এটা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
বিজেপি সূত্রে খবর, জেলা পরিষদের সাত নম্বর মণ্ডল সভাপতি ছিলেন দীপক বিশ্বাস। হয়েছেন দীপক মজুমদার। ৯ নম্বরের মণ্ডল সভাপতি ছিলেন দিলীপ মণ্ডল, হয়েছেন বৃন্দাবন বিশ্বাস। ১১ নম্বরের মণ্ডল সভাপতি ছিলেন উজ্জ্বল ঘোষচৌধুরী, হলেন দীনবন্ধু ঘোষ। ১৬ নম্বরের মণ্ডল সভাপতি ছিলেন আশিস ঘোষ, হলেন বাবলু ঘোষ। ১৭ নম্বরের মণ্ডল সভাপতি ছিলেন বিধান ঘোষ, হলেন জগন্নাথ মিত্র। ১৮ নম্বরের মণ্ডলের সভাপতি পদে বসানো হয়েছে বেবিনা খাতুনকে। আগে তার জায়গায় ছিলেন দেবেশ ঘোষ। ১৯ নম্বরের মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন প্রকাশ অধিকারী। নতুন সভাপতি হয়েছেন নবকুমার পাল। এছাড়াও ২৩, ২৫,২৬, ২৭, ২ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি পদে বদল আনা হয়েছে।
নতুনদের মধ্যে বেবিনা খাতুন একমাত্র সংখ্যালঘু মুখ বলেই জানা গিয়েছে। চাপড়া এলাকায় বহু সংখ্যালঘু মানুষের বাস। সেদিক থেকে সংখ্যালঘু মানুষের মন পেতেই এই সিদ্ধান্ত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। যদিও দলের ওই জেলা নেতার কথায়, বেবিনা সহ আরও বেশ কয়েকজন নবনির্বাচিত সভাপতি দীর্ঘদিন ধরেই দল করছেন। এবার দলে তাঁদের গুরুত্ব বাড়ানো হল। অন্যদিকে, করিমপুর বিধানসভার মধ্যে মোট পাঁচটি মণ্ডল রয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র দু’নম্বর মণ্ডলের সভাপতি ছাড়া কাউকে বদল করা হয়নি। তবে একটি মণ্ডলে নির্বাচন এখনও হয়নি। ওই নেতার কথায়, করিমপুরে তো আমাদের ভোট ছ’হাজার হলেও বেড়েছে। ফলে সভাপতি অপসারণের কোনও বিষয় নেই। দু’নম্বর মণ্ডলটি করিমপুর ২ ব্লকে। সেখানে আমাদের ফলাফল খারাপ হয়েছে। আগে সভাপতি ছিলেন মিহির বিশ্বাস। বর্তমানে সভাপতি হয়েছেন কার্তিক মণ্ডল। তবে দলের এক নেতা বলেন, সর্বত্র এনিয়ে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। সেটা এখনই বাইরে আসছে না। অনেকেই সব বিষয় মেনে নিতে পারেনি।