মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগস্ট মাসের শুরুর দিকে হুড়ার বিডিও হিসেবে মনোজিৎ নস্কর ও কাশীপুরের বিডিও হিসেবে পার্থ হাজরা যোগ দিয়েছিলেন। গত ৬ডিসেম্বর কাশীপুর ও হুড়ার বিডিওদের বদলির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে ওই নির্দেশিকায় মনোজিৎবাবু কাশীপুর ব্লকে এবং পার্থবাবু হুড়া ব্লকের বিডিও হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে লেখা রয়েছে। তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। হুড়ার নতুন বিডিও করা হয়েছে ধ্রুবঙ্কর ঠাকুরকে। তিনি বর্তমানে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে, রঘুনাথপুর মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে থাকা আধিকারিক সুদেষ্ণা দে’কে কাশীপুরের নতুন বিডিও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হুড়ায় মনোজিৎবাবুর আগের বিডিও শুভায়ু কাশ্যপীর বিরুদ্ধে তৃণমূল পরিচালিত হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রসেনজিৎ মাহাত একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তোলার পরই ওই বিডিও পরিবর্তিত হন। ফের চার মাসের মধ্যে মনোজিৎবাবুর বদলি ঘিরে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দলের কো-কনভেনর আব্দুল আলিম আনসারি বলেন, হুড়ার আগের বিডিওর সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বনিবনা না হওয়ায় তাঁকে বদলি করা হয়। তারপর তৃণমূল নেতারা নিজেদের পছন্দের যে বিডিও আনলেন তাঁকেও চারমাসের মধ্যে বদলি করা হল। আসলে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং কাশীপুরের বিধায়কের কথা মতো কাজ করতে না পারাতেই তাঁদের বদলি করা হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের ভুয়ো বিলে আধিকারিকরা স্বাক্ষর করতে চাইছেন না। উল্টে অনেক ক্ষেত্রে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই কারণেই বিডিওদের চার মাসের মধ্যে বদলি হতে হচ্ছে।
সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, প্রশাসনকে ব্যবহার করে তৃণমূল বাঁচতে চাইছে। অবশ্য তাতেও তৃণমূল পতনের হাত থেকে মুক্তি পাবে না।
হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, আগের বিডিওর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম দেখেই অভিযোগ করেছিলাম। বর্তমান বিডিওর বিরুদ্ধে তেমন কোনও অভিযোগ নেই। তবে, উন্নয়নের কাজে উনি সহযোগিতা করছিলেন না।
কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুপ্রিয়া বেলথরিয়া বলেন, বিডিও নতুন। তাই কাজ অনেক ঢিমেতালে চলছিল। তাতে সমস্যা হচ্ছিল। মানুষের স্বার্থেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কাশীপুরের তৃণমূল বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়াকে একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিধায়কের ছেলে তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথোরিয়া বলেন, বনিবনা হওয়া বা না হওয়ার কোনও বিষয় নেই। কাশীপুর ব্লকের উন্নয়নের কাজ একবারে ধীর গতিতে হওয়ায় সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছিল। তাই হয়তো রাজ্য প্রশাসন এই পরিবর্তন করেছে।