মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
জানা গিয়েছে, দামোদর নদের তেলকূপি বারণী ঘাট আদিবাসীদের অস্থি বিসর্জন ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের(রাজ্যের)সাঁওতাল আদিবাসীরা মধুকুণ্ডার বারণী ঘাটে তাঁদের পিতৃ পুরুষের অস্থি বিসর্জন দেন। বর্তমান রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জায়গাটিকে পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ডরমেটরি, কমিউনিটি হল গড়ে তোলা হয়েছে। আদিবাসী উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে সমস্ত জায়গাটি সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু হয়েছে। সেই বারণী ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে অবাধে অবৈধভাবে বালি তোলায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সাঁতুড়ি ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮সালে তেলকূপির কাছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বৈধ বালি ঘাটের অনুমোদন দেওয়া হয়। অস্থি বিসর্জন ঘাটের সংস্কৃতি নষ্ট ও অস্থি বিসর্জন দিতে আসা মানুষদের বিপদে পড়ার অভিযোগ তুলে আদিবাসীরা আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের চাপে সরকারের পক্ষ থেকে বালিঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বছর ঘুরতেই সেই ঘাটের সামান্য দূরে আবার বড় বড় মেশিন ও জেট পাম্প দিয়ে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আদিবাসীরা মেশিন ও জেট পাম্প দিয়ে বালি তোলার বিরোধিতা করতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই আদিবাসীরা সাংগঠনিকভাবে বালি তোলার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে।
তেলকূপি বারণী ঘাট সমন্বয় কমিটির সম্পাদক বেল টুডু বলেন, যেভাবে জেট পাম্প ও বড় বড় মেশিন দিয়ে মাঝ নদী থেকে অবাধে বালি তোলা হচ্ছে তাতে বিপদ ঘটার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, দামোদরের মধ্যে থেকে মেশিন দিয়ে বালি তোলার ফলে নদীর গতি পথ পরিবর্তন হচ্ছে। ঘাটের ক্ষতি হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত বালি তোলার ফলে দামোদরের গর্ভে চোরাবালির সৃষ্টি হচ্ছে। সেই চোরা বালিতে পড়ে যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বালি মাফিয়ারা ব্যবসা করলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ভারত জাকাত মাঝি পারগানা জুয়ান মহলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি রাজেন টুডু বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে গত বছরের মতো বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। আদিবাসী সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান বারণী ঘাট বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে বিপন্ন হওয়ার পথে। দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে লাগাতার আন্দোলন চলবে।
বিষয়টি নিয়ে সাঁতুড়ির বিএলএলআরও রুমান ঘোষ বলেন, এক আত্মীয়ের শরীর খারাপ থাকায় বর্তমানে ছুটিতে রয়েছি। অফিসে যোগদানের পর বিষয়টি দেখা হবে।
বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে ফোন করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। এবিষয়ে রঘুনাথপুরের মহকুমা শাসক আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর বলেন, অভিযোগ সত্যি হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।