মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বলেন, লোকসভা ভোটে পিছিয়ে থাকা ২৩টি বুথের সভাপতি বদল করার কথা বলেছেন মন্ত্রী। আগামী ১জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে মন্ত্রী নিজে গোকুলনগর এবং বয়াল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট প্রাপ্তির নিরিখে পিছিয়ে থাকা দু’টি বুথের সম্মেলনে অংশ নেবেন।
নন্দীগ্রাম বিধানসভায় মোট বুথের সংখ্যা ২৮৪টি। এরমধ্যে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে রয়েছে ১৭৮টি এবং নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে আছে ১০৬টি। গত লোকসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মধ্যে ভেকুটিয়া, সামসাবাদ, নন্দীগ্রাম ও গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের মধ্যে বয়াল-১, আমদাবাদ ও বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ২৩টি বুথ থেকে বিজেপি লিড নেয়। দ্বিতীয় স্থানে চলে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাছাড়া নন্দীগ্রাম বিধানসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ৯৫হাজার ভোটের লিড দেওয়ার টার্গেট মন্ত্রীকে দিলেও ৬৯হাজার ভোটের লিড এসেছিল। তা নিয়ে গত ১৬অক্টোবর নন্দীগ্রামে ব্রজমোহন তেওয়ারি স্কুলের অডিটোরিয়ামে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবুর গলা থেকে অভিমানের সুর ঝরে পড়েছিল। পুজোপর্ব মেটার পর তিনি সাংগঠনিক সভা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। সেইমতো রবিবার নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতি হলে সাংগঠনিক সভা ছিল। সেখানেই পিছিয়ে থাকা ২৩টি বুথের সভাপতিদের বদল করার নির্দেশ দেন তিনি।
গত লোকসভা ভোটে নন্দীগ্রাম বিধানসভা থেকে তৃণমূলের দিব্যেন্দু অধিকারী ১লক্ষ ৩০হাজার ৬৫৯ভোট পান। বিজেপির সিদ্ধার্থশঙ্কর নস্কর পান ৬২হাজার ২৬৮ভোট। সিপিএমের শেখ ইব্রাহিম আলি পেয়েছিলেন মাত্র ৯৩৫৩ভোট। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩০শতাংশ। অথচ ২০১৬সালে বিধানসভা ভোটে ওই কেন্দ্র থেকে বিজেপি মাত্র ১০হাজার ৭১৩ভোট পেয়েছিল। শতাংশের নিরিখে ছিল ৫.৪০। বিজেপির ভোটবৃদ্ধি রুখতে সাংগঠনিক রদবদল ঘটালেন মন্ত্রী।
১জানুয়ারি গোটা রাজ্যের প্রতিটি বুথের মতো নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার সবক’টি বুথে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সেইসঙ্গে পিছিয়ে থাকা ২৩টি বুথে সম্মেলন করা হবে। তারমধ্যে গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহেশপুর এবং বয়াল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নারায়ণচকে মন্ত্রী নিজে উপস্থিত থাকবেন বলে এদিন জানিয়েছেন। এদিন সাংগঠনিক আলোচনার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের আরও বেশি করে এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। ২০২১সালে বিধানসভা ভোটের আগে জনসংযোগ আরও বেশি করে করতে হবে বলে নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে বুলবুল সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান সেব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগী হতে নির্দেশ দেন শুভেন্দুবাবু।