মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
এদিন সকালে কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে ঝাড়গ্রামে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে জেলাশাসক আয়েষা রানি এ ও পুলিস সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোরের সঙ্গে মিটিং করেন মন্ত্রী। তারপর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সভা ও প্রার্থনা হলের উদ্বোধন করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রধান অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজ। মন্ত্রী প্রধান অধ্যক্ষের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করেন।
শুভেন্দুবাবু বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রধান অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজ। তাঁর আশীর্বাদ নিয়েছি, এই শুভ সকালে এটা আমার বড় প্রাপ্তি। স্বামী শুভকরানন্দজি রোপিত বীজটি তিন বছরে চারাগাছে পরিণত হয়েছে। আমি আশা করব, আগামী কিছুদিনের মধ্যে এটি একটি বটবৃক্ষে পরিণত হবে। পিছিয়ে থাকা অরণ্যসুন্দরী জঙ্গলমহলকে ছায়া দান করবে।
২০১৭ সালে ঝাড়গ্রামে একলব্য বিদ্যালয়ের পাশে রামকৃষ্ণ মিশনকে পাঁচ একর জায়গা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই জায়গায় এই সভা ও প্রার্থনা হল তৈরি হয়েছে। শুভেন্দুবাবু বলেন, বিবেকানন্দের ভাবনাকে সামনে রেখে পিছিয়ে পড়া এলাকা, গ্রামীণ এলাকায় মঠ ও মিশন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে। ঝাড়গ্রামে আদিবাসী পড়ুয়াদের একলব্য বিদ্যালয় কার্যত অচল হয়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী সেটি মঠ ও মিশনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, সেই অনুষ্ঠানে আমি হাজির ছিলাম। তারপর থেকে একলব্য বিদ্যালয় ও পড়ুয়াদের সুন্দরভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মঠ ও মিশন যেভাবে কাজ করছে, তার জন্য আমরা প্রশংসা করতে পারি। আপনারা স্বামীজির মন্ত্রে এগিয়ে চলুন। কোনও কাজ আটকবে না।
স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজ বলেন, ঝাড়গ্রামে এই প্রথম এসেছি। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে সবার ভালো ও মঙ্গল হোক। স্বামী শুভকরানন্দজি মহারাজ বলেন, রামকৃষ্ণ মিশনের প্রার্থনা হলের জন্য ৪৩লক্ষ টাকা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়া প্রধান অধ্যক্ষ ঝাড়গ্রামে এসেছেন, এটা ঝাড়গ্রামবাসীর কাছে বড় পাওনা।