উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
জখম আম ব্যবসায়ী কাইয়ুম শেখ বলেন, আমের ব্যবসা সেরে রাতে গুজুরঘাট হয়ে মহানন্দা নদী পার হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু রাতে নৌকা না পেয়ে ফেরার পথে পাঁচজন দুষ্কৃতী মারধর করে টাকা ছিনতাই করে পালায়। এই ঘটনায় এলাকার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের যোগসাজশ রয়েছে। এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আক্রান্ত আম ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা অভিযুক্ত সিভিকের শাস্তি চাই।
মালদহ থানার আইসি হীরক বিশ্বাস বলেন, রাতে একটি গণ্ডগোল হয়েছে। তবে ছিনতাই সংক্রান্ত অভিযোগ এখনও হাতে পাইনি। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্তকারী পুলিস অফিসার বলেন, প্রাথমিকভাবে এলাকার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম উঠে এসেছে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও পুরনো শত্রুতা বা আক্রোশের বিষয় রয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারের সদস্যদের দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। বাড়ির অনুষ্ঠান চলাকালীন সে বাইরে গিয়ে বচসা থামাতে গিয়েছিল। তাতেই ওর নাম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার বেবি দাস চৌরাশিয়ার স্বামী সুনীল চৌরাশিয়া বলেন, গভীর রাতে কী ঘটনা ঘটেছে এনিয়ে আমরা অন্ধকারে। তবে সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির অনুষ্ঠানে আমরাও গিয়েছিলাম। সকালে শুনতে পাচ্ছি, একটা বড় ধরনের গণ্ডগোল হয়েছে। যতদূর শুনতে পেয়েছি কয়েকজন ঝামেলা করছিল। সেসময় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ঝামেলা মেটাতে যান। এনিয়ে পরে কী অভিযোগ হয়েছে আমার জানা নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহ শহরের নবাবগঞ্জ হয়ে ইংলিশবাজারে মহানন্দা নদীর গুজুরঘাটে নৌকায় যাতায়াত করা যায়। রাত ১টা নাগাদ কাইয়ুম সাহেব টাকাপয়সা নিয়ে নৌকা ধরার জন্য ঘাটে যান। গভীর রাতে নৌকা না পেয়ে ফিরে আসছিলেন। সেসময় একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকে টাকা ছিনতাই করে। সেসময় ধস্তাধস্তি হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ব্যবসায়ীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। দুষ্কৃতীরা ওই আম ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
ঘটনাচক্রে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। সব দেখেও তিনি কোনও প্রতিবাদ করেননি বলে অভিযোগ। নবাবগঞ্জ গুজুরঘাটে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য আগে থেকেই রয়েছে। বছরখানেক আগেও গভীর রাতে নৌকা না পেয়ে বিপদে পড়া এক বধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই ঘাটেই ফের ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।