উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
সোমবার তিনি বলেন, বিভিন্ন বাজার, শপিংমল এলাকায় এখনও মানুষ ইচ্ছেমতো ধূমপান করেন। জনবহুল এলাকায় এভাবে যেখানে সেখানে ধূমপান করা হলে তা আশেপাশে থাকা অধূমপায়ীদেরও ক্ষতি করছে। করোনা সংক্রমণের ফলে বহু মানুষ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছে। এছাড়াও সাধারণ মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য জনবহুল এলাকায় যথেচ্ছভাবে ধূমপান বন্ধ করা উচিত। সেজন্য আমরা প্রাথমিকভাবে শহরের তিনটি জনবহুল এলাকায় আলাদা করে ‘স্মোকিং জোন’ তৈরি করব। কেউ ধূমপান করতে চাইলে সেখানে গিয়ে করতে হবে।
শিলিগুড়ির চিকিৎসক মহল পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। করোনা সংক্রমণকালে বায়ুদূষণ সকলের পক্ষেই ক্ষতিকর। সেজন্যই গতবার দীপাবলিতে সর্বস্তরের আবেদনে আতশবাজি ফাটানো বন্ধ রাখতে সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। তার সুফলও পাওয়া গিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি বায়ূদূষণ নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে সাধারণ মানুষকেও তার সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রাখতে হবে। সকলে এগিয়ে না এলে এ ধরনের লড়াইয়ে সাফল্য পাওয়া যাবে না।
‘স্মোকিং জোন’ তৈরি করে শুধু বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণই নয়, শহরের দৃশ্যদূষণ নিয়ন্ত্রণেও পদক্ষেপ করতে চলেছে প্রশাসক বোর্ড। রঞ্জন সরকার বলেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় যথেচ্ছভাবে নানা ধরনে হোর্ডিং, ব্যানার টাঙানো হয়। যা শহরের সৌন্দর্যায়ন নষ্ট করে। তাই আমরা দু’টি জায়গা বেছে নিয়ে সেখানে সমস্ত ধরনের হোর্ডিং, ব্যানার লাগানো নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাতে শহরের প্রাণকেন্দ্র মহাত্মা গান্ধী মোড় ও হাসমিচকে আর কোনও ধরনের ব্যানার, হোর্ডিং লাগাতে দেওয়া হবে না। যেগুলি লাগানো রয়েছে তা পুরসভার থেকে খুলে দেওয়া হবে।