উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
এই অবৈধ কারবারের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ডালখোলা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রশাসক সুভাষ গোস্বামীও। তিনি বলেন, পুরসভা এলাকায় জাল মদ তৈরি হয়। সেই মদ বিহার সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় পাচার হয়। এতে এলাকার পরিবেশ খারাপ হচ্ছে। পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি ডালখোলা থানা থেকে শুরু করে পুলিসের ঊর্ধ্বতন অধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। দু’একবার অভিযান হচ্ছে। কিন্তু দুষ্কৃতীদের ধরা হচ্ছে না। ডালখোলার এসডিপিও সৌম্যনন্দ সরকার বলেন, আমি নিজে অনেক জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। নাইট পেট্রলিং টিমকে সন্দেহজনক এলাকাগুলিতে অভিযান চালাতে বলা হয়েছে। নাকা চেকিংও চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডালখোলা পুরসভার কিছু এলাকা ও গ্রামাঞ্চলে জাল মদ তৈরির কারবার চলছে। ভুসামনি, ভুসামনি উত্তরপাড়া, কুয়েতপাড়া সহ একাধিক এলাকায় বেআইনি মদ তৈরি হয়। বাঁশঝাড়ের নীচে, চাষের জমির পাশে এমনকী বাড়িতেও মদ তৈরি হয়। এই কারবারে যুক্ত কেউ খালি বোতল সরবরাহ করে, কেউ বোতলের গায়ে লাগানোর জন্য স্টিকার ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে আসে। কিছু ব্যবসায়ী কাঁচা স্পিরিট সরবরাহ করে। জাল মদ তৈরির কাজে স্পিরিটের সঙ্গে বিভিন্ন উপাদান মেশানো হয়। এই কাজের জন্য দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন। মিশ্রণের অনুপাত সঠিক না হলে ওই মদ খেয়ে প্রাণহানিও ঘটতে পারে। তাই বিহার থেকে দক্ষ কর্মীদের ঘণ্টা চুক্তিতে আনা হয়। তারা গভীর রাতে এসে ভোর পর্যন্ত কাজ করে। মোটা টাকা পায়। বোতল ভর্তি করা, বোতলের গায়ে লেবেল লাগানো, কার্টনে প্যাক করা, এই সমস্ত কাজে কম বয়সি ছেলেদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এর পর অর্ডার অনুয়ায়ী বিভিন্ন এলাকায় তা পাচার করা হয়। পাচারের জন্য আলাদা আলাদা রুট ব্যবহার করা হয়। কখনও জাতীয় সড়ক, কখনও বাইপাস হয়ে গ্রামের ভিতর দিয়ে নিচিতপুর, কখনও অন্য রাস্তা ব্যবহার হয়।
মদ পাচারের জন্য ছোট বড় বিভিন্ন গাড়ি ব্যবহার করা হয়। বাইকে করেও পাচার হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পাচারের কাজে ব্যবহৃত কিছু গাড়িতে নম্বর প্লেট থাকে না। কিছু গাড়িতে ভুয়ো নম্বর থাকে। যেসমস্ত এলাকায় মদ তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার রাস্তা নেই। জমির আল দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। এর ফলে পুলিস পৌঁছনোর আগেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাচ্ছে। বিহারে মদ নিষিদ্ধ। ডালখোলায় জাল মদ তৈরির কারবার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিহার লাগোয়া হওয়ায় পাচারের সুবিধা রয়েছে। জাল মদ নিয়ে সামান্য দূরে যেতে পারলে বিহারে প্রবেশ করা যায়। এই কারণে কারবারিদের কাছে ডালখোলা পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে। এই অবৈধ ব্যবসা করে এলাকার অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে।