মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ আসার পরই অবশ্য ব্লক প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। ব্লক প্রশাসন কর্মীদের নিয়ে চারটি দল গঠন করে এদিন থেকেই নজরদারিতে নেমে পড়েছে।
আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের বিডিও মহম্মদ ওয়ারশিদ খান বলেন, স্কুলগুলিকে মিড ডে মিলের ওই সামগ্রীগুলি পাল্টে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চারটি দল গঠন করে বিষয়টির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই ওই সামগ্রীগুলি পাল্টে দেওয়া হবে। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক সুজিতকুমার দে বলেন, ২ নম্বর ব্লকের ১২-১৫টি স্কুল থেকে নিম্নমানের আলু দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। ওই আলুগুলি খাওয়ার অযোগ্য। ব্লকের ৫০ শতাংশ স্কুল থেকে সামগ্রীগুলি পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়ে গিয়েছে। এরপর সামগ্রীগুলি কীভাবে পাল্টে দেওয়া যাবে তা বুঝতে পারছি না। ভালো আলু সহ অন্যান্য সামগ্রী যেন সঠিক পরিমাণে দেওয়া হয় তার জন্য প্রশাসনের কাছে নজরদারি চালানোর দাবি জানাচ্ছি।
ব্লকের ওই স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, আলুগুলি ভালো নয় এটা আমরাও বুঝতে পারছি। আলু সহ অন্যান্য সামগ্রীগুলি আমাদের কাছে যেমন এসেছে, তেমনই আমরা সেগুলি অভিভাবকদের দিয়েছি। অভিভাবকরা বলেন, স্কুল থেকে যে আলু দেওয়া হয়েছে তা খাওয়া যাবে না। তার মধ্যে অনেক আলু পচা রয়েছে। তাছাড়াও চাল, মসুরের ডাল পরিমাণে কম দেওয়া হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পরিমাণও কম রয়েছে।
চতুর্থ পর্যায়ে মিড ডে মিলের সামগ্রী বিতরণ করার জন্য আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের অনেক প্রাইমারি স্কুলকে আগেই এজেন্সির মাধ্যমে চাল, ডাল, আলু, স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে। তবে বাকি রয়েছে এমন বেশকিছু স্কুল কর্তৃপক্ষকে বাজার থেকে সামগ্রীগুলি কিনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেজন্য স্কুলগুলির অ্যাকাউন্টে ব্লক অফিস থেকে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। যেসমস্ত স্কুলকে এজেন্সির মাধ্যমে সামগ্রীগুলি দেওয়া হয়েছে তার বেশিরভাগই নিম্নমানের বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বেশ কয়েকটি স্কুলে আলুর মান ভালো রয়েছে বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন।