মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
ফি মকুবের দাবিতে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায় দফায় আন্দোলন হয়েছে। বিরোধী থেকে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন ফি মকুবের দাবিতে পথে নেমেছিল। শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফি মকুবের সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনলাইনে পাঠদান প্রক্রিয়া চলছে। তবে সেখানে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার কম। ফোনের নেটওয়ার্ক কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে আবার অনলাইনে ক্লাস করতে ততটা আগ্রহী নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন, পড়ুয়াদের ফি সংগ্রহ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল গড়ে ওঠে। এই তহবিল থেকে অস্থায়ী শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মী ৭৮ জন এবং ৩৯ জন শিক্ষক রয়েছেন। জুন মাস পর্যন্ত তাঁরা পুরো বেতন পেয়েছেন। তাঁদের বেতন দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল কার্যত শূন্য। পড়ুয়াদের ফি সংগ্রহ না হলে তাঁদের বেতন দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। এই পরিস্থিতিতে পডুয়াদের বকেয়া ফি সংগ্রহ ছাড়া বিকল্প পথ নেই। বাধ্য হয়েই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফি সংক্রান্ত নোটিস জারি করেছে।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, ৫০০ পড়ুয়ার ১০০ শতাংশ এবং ৪৫০০ পড়ুয়ার ৫০ শতাংশ ফি মকুব করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনের পর আলোচনায় বসে কর্তৃপক্ষ। ফি মকুবের জন্য পড়ুয়াদের অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়। আবেদনকারীদের পারিবারিক আয় খতিয়ে দেখে ৫০০ পড়ুয়ার ১০০ শতাংশ এবং ৪৫০০ পড়ুয়ার ৫০ শতাংশ ফি মকুব করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৫০০ জন। একাংশ পড়ুয়া অবশ্য নিজে থেকেই পুরো ফি দিতে ইচ্ছুক।
এদিকে, সোমবার ইউজিসি পরীক্ষা সংক্রান্ত নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আগামী সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা নিতে হবে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে। এই নির্দেশিকা পাওয়ার পর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। সেই পরিকাঠামো এই গ্রামীণ এলাকায় নেই। বহু পড়ুয়া প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাস করেন। তাঁদের ফোনের নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে। ফলে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই। করোনার আবহে পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে তার গাইড লাইন তৈরি করতে হবে রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে।