প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
লকডাউনে আলিপুরদুয়ার শহরের দুই বন্ধুর এই বিকল্প ব্যবসা ভালোই জমে উঠেছে। ঘরে বসে রসনা তৃপ্তির স্বাদ পেয়ে শহরের বাসিন্দারাও বেজায় খুশি দুই যুবকের এই উদ্যোগে। একটা ফোন করলেই বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে রাজু ও কেশব দুই বন্ধুর তৈরি রসমালাই, ল্যাংচা, রসগোল্লা,দই ও গোলাপজাম।
ঘাঘরার যুবক রাজু বলেন, শহরের বউবাজারে পনির বিক্রি করতাম। কিন্তু লকডাউনের জন্য বাজার বন্ধ। পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছিলাম। কিন্তু ছোট বেলায় মিষ্টি তৈরির কাজটা শেখা ছিল। তাই সংসার চালাতে ঠিক করলাম বাড়িতে মিষ্টি তৈরি করে মানুষের বাড়ি বাড়ি বিক্রি করব। কিন্তু এই কাজ একা সম্ভব নয়। তাই বন্ধু কেশবকে বললাম পরিকল্পনার কথা। কেশবও এক কথায় রাজি হয়ে গেল। দুই বন্ধু মিলে মিষ্টির হোম ডেলিভারি শুরু করে দিলাম। বিকল্প এই কর্মসংস্থানে এখন দু’জনের সংসার ভালোই চলছে। রাজুর বন্ধু কেশববাবু বলেন, আমার নিজের একটি টোটো আছে। কিন্তু লকডাউনে মানুষ রাস্তাঘাটে বের হচ্ছে না। সংসার চালাতে কী করব বুঝতে পারছিলাম না। বিকল্প আয়ের পথ দেখিয়ে বাঁচিয়ে দিল বন্ধু রাজু। এখন মিষ্টির হোম ডেলিভারি ব্যবসা করে ভালোই সংসার চলছে।
রাজু ও কেশববাবু জানিয়েছেন, শহরের গৃহস্থ ক্রেতার ফোন পেয়ে প্রতিদিন তাঁরা এখন শহরের বাড়ি বাড়ি হরেক রকম মিষ্টি পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রতিদিন ৫০০০-৬০০০ টাকার মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন ব্যবসার লাভের অঙ্ক এখনও তাঁদের কষা হয়নি। দৈনিক ৫০০০-৬০০০ টাকার এই মিষ্টি তৈরি করতে প্রতিদিন ২০০-২৫০ কেজি দুধ এবং ৩০-৩৫ কেজি ছানা লাগছে। ছানা ও দুধের জোগান পেতেও কোনও সমস্যা হচ্ছে না। দুধ ও ছানার জোগান পাওয়া যাচ্ছে এলাকার দুধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই। দুধ ৪০ টাকা ও ছানা ২০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁদের বিকল্প এই ব্যবসা জমে উঠেছে। হোম ডেলিভারির মিষ্টির চাহিদাও বেড়েছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আরও বেশি করে মিষ্টি বানাতে তিন-চার জন যুবককেও নিয়োগ করতে হয়েছে।