বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
এব্যাপারে আরএমসি’র ইন্সপেক্টর অন স্পেশাল ডিউটি সমীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের সংস্থা ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভলপমেন্টকে (নাবার্ড) দিয়ে জেলার আরএমসি’র অধীন হাটগুলিতে সার্ভে করিয়েছে। হাটের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এই সার্ভে হয়েছে। কোন হাটে কী প্রয়োজন তা সার্ভের রিপোর্টে উঠে আসবে। সরকার ওই সার্ভে রিপোর্ট অনুসারে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করবে। এতদিন হাটের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আরএমসি নিজেই কাজ করত। আরএমসির ফান্ডের অর্থ দিয়েই পরিকাঠামোর উন্নয়নের কাজ হতো। এবারই প্রথম সরকারের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরএমসি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের অধীনে উত্তর দিনাজপুর জেলায় মোট ১৩টি হাট আছে। ইসলামপুর মহকুমার সোনাপুর, চোপড়া, দাসপাড়া, কাঁচাকালী, ধরমপুর, পাঞ্জিপাড়া, কালনাগিন মিলে ১১টি হাট রয়েছে। রায়গঞ্জ মহকুমায় দু’টি—চান্দোল ও কর্ণজোড়ায় হাট আছে।
স্থানীয়রা বলেন, হাট এলাকার রাস্তা, নিকাশি নালা, শেড, পরিশ্রুত পানীয় জলের পরিষেবা সহ অন্য পরিকাঠামোগুলি বেহাল হয়ে আছে। অনেক হাটেই জমি জবরদখল হয়ে আছে। এর ফলে হাটের জায়গা সংকুচিত হয়ে গিয়েছে। হাট এলাকার ড্রেনগুলি দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কার ও সাফাই করা হয় না। অনেক সময় ওই নর্দমাগুলিতে জমে থাকা জল থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে। মশামাছির উপদ্রবও বাড়ছে। ফলে সেখান থেকেও দূষণ ছড়াচ্ছে। বর্ষার সময় ড্রেনের জল এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এখন জেলায় লোকসংখ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জেলার হাটগুলিতে বিক্রেতা ও ক্রেতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু হাটের শেড সেভাবে সাজানো হয়নি। হাট চত্বরে আবর্জনা পড়েই থাকছে। সাফাই হয় না বললেই চলে। জেলার হাটগুলিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি অনেক দূর থেকেও ক্রেতারা আসেন। সেইসঙ্গে সেসব হাটে অনেক দূরদূরান্ত থেকে বিক্রেতারা আসেন। কিন্তু হাটে এসে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। কোনও কোনও হাটে পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। অনেক হাটে শৌচালয় নেই। যেসব হাটে শৌচালয় আছে, সেগুলি অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহারের মতো নয়। ফলে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েন হাটে আসা মহিলা ক্রেতা বা বিক্রোতারা।
ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই হাটগুলির এমন বেহাল দশা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে এই হাটগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামের মানুষের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি ও ক্রয়ের ব্যবস্থা এই হাটগুলিতেই হয়। এলাকার অর্থনীতির বড় স্তম্ভ এই হাটগুলি। কিন্তু এগুলি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে আছে। সরকার এগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে এলে সকলেরই সুবিধে হবে। তবে কত দিনে এই কাজ হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। কাজ দ্রুত শুরু করা উচিত।