বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রদেশ সভাপতি নাগরিক আইনের ইস্যুতে তাঁদের গৃহীত কর্মসূচিতে বামফ্রন্ট নেতৃত্বকে শামিল করার কথা ঘোষণা করেছেন জোটধর্ম মেনে চলার পূর্ব অঙ্গীকারের কথা স্মরণে রেখে। জেলা সভাপতিদের তিনি এই ধরনের যাবতীয় কর্মসূচিতে স্থানীয় বাম নেতাদের আহ্বান জানানোর নিদান দিয়েছেন। এর আগে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে বিধানভবনে আয়োজিত দলীয় কর্মসূচিতে সোমেনবাবুরা সিপিএম সহ বামফ্রন্ট শরিক দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্বকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার যুব কংগ্রেসের পুরভবন অভিযানেও বাম যুব নেতাদের হাজির হতে দেখা গিয়েছে। তৃতীয় দফায় এবার নাগরিকত্ব আইনের মতো হাতে গরম ইস্যুতে একসঙ্গে পথে নামার বার্তাও দিলেন সোমেনবাবুরা। আর তাঁদের এই পদক্ষেপ কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে সিপিএমের। কারণ, নাগরিকত্ব আইনের ইস্যুতে বাম দলগুলি আগামী সোমবার থেকে দিনকয়েক জেলাওয়াড়ি যে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের কথা ঘোষণা করেছে, তাতে কংগ্রেস নেতৃত্বকে যুক্ত করার কথা বলা হয়নি। এব্যাপারে ফ্রন্টের বৈঠকেও তারা কোনও আলোচনা করেনি। অথচ এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে যৌথ আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি ছিল বলে মানছেন বাম নেতারাই। ফ্রন্ট শরিকদের মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো দু’-একটি দল সোমেনবাবুদের এহেন আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছে। এমনকী, সিপিএমের তরফে আপত্তি উঠলেও কংগ্রেসের ওই কর্মসূচিতে তাদের নেতৃত্ব শামিল হতে পারে বলেও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাজ্যবাসীকে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়ে সোমেনবাবু এদিন বলেন, মানুষের হাজারো সমস্যার সমাধান না করে কেন্দ্র মেরুকরণের রাজনীতি করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের একটি সংবিধান বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে। তাই প্রদেশ কংগ্রেস আগামী কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে ‘সংবিধান বাঁচাও-ভারত বাঁচাও’ কর্মসূচি পালন করবে। বিজেপি যেভাবে হিন্দু ধর্মের মূল ভিত্তিকে নষ্ট করছে, তার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে তার পাল্টা হিসেবে রামকৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্য এবং স্বামী বিবেকানন্দের বাণী প্রচার করা হবে। একইসঙ্গে গান্ধীজি, রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র, জওহরলাল নেহরু, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখের ‘ভারত ধারণা’র বার্তা প্রচার করে অমিত শাহদের অসত্য ইতিহাস তুলে ধরার প্রচেষ্টাকে আটকানো হবে। এই ধরনের কর্মসূচিতে আমরা সব ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে একত্রিত করেই চলতে চাই।
সিপিএম বা বাম শিবির থেকে অবশ্য প্রদেশ সভাপতির এই আবেদনে সাড়া দেওয়ার প্রশ্নে কোনও বিবৃতি বা প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এদিন বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সহমর্মিতার অবস্থানকে সামনে রেখে আমরা রাজ্যের সব মানুষকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করছি। কেউ যেন কোনও প্ররোচনায় পা না দেয়, সেকথাও বলছি। আসলে এনআরসি বা এই ধরনের আইন সংশোধন করার জন্য বাংলা সহ গোটা দেশে আজ উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি করার বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত। দেশের বেহাল আর্থিক দশা, বেকারত্ব, শ্রমজীবী মানুষের আত্মহত্যার মিছিল প্রভৃতি ইস্যুগুলি থেকে নজর ঘোরাতেই এই ছক মোদি-শাহদের।