বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
বিজেপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে কাঁথিতে অমিত শাহর সভা শেষে তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন ধরানো ও নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কাঁথি ও মারিশদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল তৃণমূল। অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তনবাবুও। আগেই এই মামলার অভিযুক্তরা আদালতে জামিন নিয়েছেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এদিন কাঁথি মহকুমা আদালতে জামিন নিতে আসেন সায়ন্তনবাবু। সেখানে পাঁচ হাজার টাকার বেলবন্ডে জামিনও নেন তিনি।
পরে সায়ন্তনবাবুর সঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী সহ কয়েকজন নেতা ভূপতিনগর থানায় যান। সেখানে নানা ইস্যুতে এলাকার দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সায়ন্তনবাবুরা। সেই বিষয়গুলি নিয়েই ওসির সঙ্গে কথা বলেন নেতারা। সেই সময় থানার সামনেই গো¬¬-ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরা। থানা থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন সায়ন্তনবাবু সহ অন্যান্য নেতারা। অভিযোগ, সেখানেই তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। এমনকী বাইকে চেপে বেশ কয়েকজন দু’টি গাড়ির পিছু ধাওয়া করে। মাধাখালি ব্রিজের কাছে সায়ন্তনবাবুদের গাড়ি এবং জেলা সভাপতির গাড়িতে ইট, কাঠ দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। অনেক চেষ্টার পর পুলিস পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে এবং গাড়িগুলিকে বের করে। এদিকে বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে হেঁড়িয়ায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে প্রায় এক ঘণ্টা পথ অবরোধ চলে। অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কের দু’দিকে প্রচুর গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। খেজুরি থানার পুলিস পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপবাবু বলেন, তৃণমূল পরিকল্পনামাফিক এই হামলা চালিয়েছে। দলের রাজ্য নেতা সায়ন্তনবাবুও আক্রান্ত হন। তাঁর অবশ্য কোনও আঘাত লাগনি। তবে আমার গাড়ির ড্রাইভারের আঘাত লেগেছে। এছাড়া কাচের টুকরো ছিটকে আসায় অনেকেই অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ভগবানপুর¬-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য মানব পড়ুয়া বলেন, মিথ্যা অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূলের লোকজন কোনওভাবেই জড়িত নয়। আসলে এলাকায় মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে বিজেপির নেতাদের মধ্যে গত বেশ কয়েকদিন ধরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই হামলা হয়েছে।
কাঁথির মহকুমা পুলিস আধিকারিক অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, পুলিস দ্রুত অবস্থা সামাল দিয়েছে। তবে এই ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ জমা পড়লে মামলা রুজু করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় পুলিসি টহলদারি চলছে।