বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
পর্যটন মন্ত্রী বলেন, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ নিয়ে একটি ট্যুরিজম সার্কিট গড়ে তোলার উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। এই দুই জেলাই ইতিহাস প্রসিদ্ধ। এক সময় দুই জেলাই বাংলার রাজধানী ছিল। ইতিহাস–পর্যটনকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে আমরা মালদহ ও মুর্শিদাবাদের উপর বিশেষ নজর দিচ্ছি।
গৌতম দেব বলেন, মালদহের সরকারি পর্যটক আবাসটির ভোল বদলে ফেলতে চায় পর্যটন দপ্তর। পর্যটকরা যেন তাঁদের মালদহ সফরকালে এই সরকারি পর্যটক আবাসে থাকতে উৎসাহী হন, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, আমরা এই পর্যটক আবাসে অন্তত ৫০টি ঘর রাখতে চাই। প্রতিটি ঘরই হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। কারণ এখন পর্যটকদের প্রথম পছন্দ বাতানুকূল ঘর। এছাড়াও এই পর্যটক নিবাসের ছাদে একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা যুক্ত কনফারেন্স হল তৈরির বিষয়েও আমরা ভাবনা চিন্তা করছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা বিষয়গুলি নিয়ে এগোতে চাই। এছাড়াও এই পর্যটক আবাসের পানশালা ও রেস্টুরেন্টটিকে আধুনিক চেহারা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
মালদহের সরকারি পর্যটক আবাসের এক কর্মী জানিয়েছেন, ১৯৬৮ সাল নাগাদ মালদহ শহরের এই পর্যটক আবাসটি তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে ১৫টি অতিথি কক্ষ রয়েছে এই আবাসে। তবে পাঁচটি কক্ষের কিছু না কিছু সংস্কারের কাজ চলায়, বাকি ১০টি কক্ষে এখন পর্যটকরা থাকতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে বুকিংয়ের সুবিধাও রয়েছে বলে ওই কর্মী জানিয়েছেন। এই পর্যটক আবাসের পানশালাটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হলেও রেস্টুরেন্টটিতে এই ব্যবস্থা নেই। দু’টি ক্ষেত্রেই এই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে বলে পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এক সময় মালদহ শহরে বিলাসবহুল হোটেলের অভাব ছিল। সেসময় অর্থাৎ আশির দশকের শেষ এবং নব্বই দশকের শুরুর দিক পর্যন্ত মালদহে আসা বিশিষ্টজনেদের প্রথম পছন্দই ছিল এই সরকারি পর্যটক আবাস। এই আবাসের এক প্রবীণ কর্মী বলেন, তখন অতিথিদের ঘর দিতে হিমশিম খেতে হত। পাশাপাশি এই পর্যটক আবাসের রেস্টুরেন্টে তৈরি হওয়া খাওয়ারের চাহিদাও ছিল প্রচুর। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মালদহ শহরে তৈরি হয় একাধিক বিলাসবহুল হোটেল। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়ায় মালদহে আগত অতিথিরা ধীরে ধীরে ঝুঁকতে থাকেন সেসব বেসরকারি হোটেলগুলির দিকেই। প্রতিযোগিতায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকতে এই সরকারি পর্যটক আবাস।
রাজ্য সরকার নতুন করে এই পর্যটক আবাসটিতে আধুনিক সুযোগ সুবিধা চালু করলে এটির হৃত গৌরব ফিরে পেতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।