বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
নাগরিকত্ব সংশোধনীর বিরুদ্ধে তাঁরা পথে নামবেন। সিদ্দিকুল্লা সাহেব আগেই সেই ঘোষণা করেছিলেন। সেই ঘোষণার পরপরই সংসদের দুই কক্ষে সংখ্যাধিক্যের জোরে বিতর্কিত ক্যাব পাশ হয়ে যায়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে তা আইনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এদিন রাজ্যের সব মসজিদ ও মাদ্রাসা থেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে। সেই অনুসারে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মধ্য কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের সামনে বিশাল সংখ্যক মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ জমায়েত হয়ে মিছিল করে। মিছিল যায় মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির কাছে। সেখানেই রাস্তা আটকে তারা দীর্ঘক্ষণ সভা করে। অন্যদিকে, পার্ক সার্কাস, বেলগাছিয়া ইন্দ্র বিশ্বাস রোড, মেটয়াবুরুজ কাচ্চি সড়ক এই তিন জায়গায় অবরোধ হয়। পার্ক সার্কাসে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। এই অবরোধের জেরে দক্ষিণ-মধ্য কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ গাড়ি থমকে থাকে। নানা জায়গায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিস। এর প্রভাবে অফিস পাড়াতেও ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরিষা, মগরাহাট, শিরাকোল, লালপুরে মিছিল হয়। রাজারহাট-নিউটাউনে মিছিল অবরোধ করে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন। বিভিন্ন জেলায় এদিন জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। রেল অবরোধও হয়।
রাস্তাঘাটের এইসব বিক্ষোভের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন রাজ্য জমিয়তে উমেলা হিন্দের শীর্ষ নেতা সিদ্দিকুল্লা সাহেব। তিনি বলেন, তাঁদের সংগঠন শুধুমাত্র জুম্মার নমাজের পর মসজিদের মধ্যেই প্রতিবাদ জানিয়েছে। তিনি বলেন, তাঁদের সংগঠন আগেই এই প্রতিবাদ দিবস পালনের ডাক দিয়েছিল। তার সুযোগ নিতে কেউ কেউ পথে নেমে মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। এই বিক্ষোভকারীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তাওয়া গরম পেয়ে যারা এভাবে মানুষের জনজীবন অচল করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তাদের সঙ্গে জমিয়তের কোনও সম্পর্ক নেই। এই আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এদিন সই করা স্মারকলিপি জেলাশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। আগামী ২৪ তারিখ ধর্মতলায় তাঁরা বিশাল সমাবেশ করবেন বলে দাবি করেন সিদ্দিকুল্লা সাহেবের। পুলিসের দাবি, সতেরোটি সংগঠন এদিন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। কলকাতায় দীর্ঘ অবরোধ হলেও কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি। সূত্রের দাবি, এদিনের বিক্ষোভের সিংহভাগই ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। অনেক জায়গাতেই বিক্ষোভকারীরা জাতীয় পতাকা নিয়ে হাজির হয়েছিল।