বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, বর্তমান যাদবপুর ও রিজেন্ট পার্ক থানাকে ভেঙে এই দুটি নতুন থানা তৈরি হবে। যাদবপুর থানা বর্তমানে প্রায় সাড়ে ছয় বর্গ কিমি এলাকা নিয়ে গঠিত। এই থানার আওতায় রয়েছে কলকাতা পুরসভার ৯৩ (আংশিক), ৯৪, ৯৫, ৯৬, ৯৭ (আংশিক) এবং ১০২ নম্বর ওয়ার্ড। অন্যদিকে, রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার আয়তন প্রায় ৫.৭ বর্গ কিমি। ৯৭, ১১৩ এবং ১১৪ নম্বর ওয়ার্ড এই থানার অন্তর্গত। ফলে পুলিস প্রশাসন চাইলেও এত বড় এলাকায় উন্নতমানের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই ওই দুটি থানা ভেঙে আরও দুটি নতুন থানা গঠনের উদ্যোগ বলে লালবাজারের এক সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্য পুলিসের অধানে থাকা দক্ষিণ শহরতলির অ্যাডেড এরিয়ার রিজেন্ট পার্ক, বেহালা, ঠাকুরপুকুর, যাদবপুর, পূর্ব যাদবপুর, কসবা, তিলজলার মতো আটটি থানাকে ভেঙে মোট ১৬টি থানা তৈরি করে কলকাতা পুলিসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু ওই বিভাজনের পরও অ্যাডেড এরিয়ার থানাগুলির আয়তন কলকাতার অন্য থানাগুলির তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ছিল। যা কি না, কমিশনারেট ব্যবস্থার পক্ষে অন্তরায়। পুলিস কমিশনারেট সিস্টেমের শর্তই হল, থানা এলাকা ছোট হবে এবং পুলিস বাহিনী সংখ্যায় বেশি থাকবে। বর্তমানে কলকাতা পুলিসের অ্যাডেড এরিয়ার থানাগুলির আয়তন অত্যন্ত বেশি। যেমন, হরিদেবপুর থানা প্রায় ২৪ বর্গ কিমি এলাকা নিয়ে কাজ করে। কেএলসি থানা এলাকার আয়তন প্রায় ৪৭ বর্গ কিমি। তাই শুধু যাদবপুর বা রিজেন্ট পার্ক নয়, আগামী দিনে কসবা, বেহালা, হরিদেবপুর, কেএলসির মতো থানাগুলিকে ভেঙে আরও থানা তৈরির ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সমস্যা একটাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নতুন থানার জন্য ভবন তৈরির জমি মিলছে না।
লালবাজার সূত্রের খবর, এই দুটি নতুন থানার ভবন তৈরির কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে মাজারের কাছে তৈরি হচ্ছে নতুন গল্ফগ্রিন থানা। পাশাপাশি, এনএসসি বোস রোডে গাছতলা ব্রিজ পেরিয়ে বাঁশদ্রোণীতে দমকল কেন্দ্রের কাছে তৈরি হচ্ছে নতুন কালীতলা থানার ভবন। দু’টি ভবনেই থানার পাশাপাশি বারাক ও আবাসন থাকছে।