সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
মিহিরবাবু বলেন, কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য দু’টি অ্যাম্বুলেন্স কেনার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে একটি ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুলেন্স। পাশাপাশি আউটডোরের পরিসর বৃদ্ধি করা, মাইক্রোস্কোপিক সার্জারি চালু, অস্ত্রোপচারের সংখ্যা বাড়ানো, দু’টি গেট নির্মাণ সহ একাধিক বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। রাজীব প্রসাদ বলেন, মেডিক্যাল কলেজ চালু হওয়ার পর এটাই প্রথম রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক। এদিনের বৈঠকে একাধিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। মা ও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরকারি ভাবে ও ন্যাষ্য মূল্যের ওষুধের দোকানে না পাওয়া গেলে স্থানীয়ভাবে যাতে কেনা যায় তার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তা রক্ষীদের কেউ সঠিকভাবে কাজ না করলে সরকারি নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের মতো প্রান্তিক জেলা থেকে অনেক সময়েই গুরুতর অসুস্থ রোগীদের অন্যত্র নিয়ে যেতে হয়। সেই সমস্ত ক্ষেত্রে ক্রিটিকাল কেয়ার অ্যাম্বুলেন্স না থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হয়। ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ভেন্টিলেশন, টেকনিশিয়ান ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকে। এসবের সাহায্য নিয়ে রোগীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে সুবিধা হয়। এতে রোগীর প্রাণহানির আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। সেই কারণেই ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুলেন্স কেনার বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
মেডিক্যালে বর্হিবিভাগে প্রতিদিন গড়ে আড়ই হাজার থেকে তিন হাজার রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। এদের জন্য অতিরিক্ত জায়গার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেখানে শেড দিয়ে জায়গা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব এদিনের বৈঠকে গ্রহণ করা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজে ল্যাপেরোস্কোপিক সার্জারি চালু করা, অর্থোপেডিক সার্জারির ক্ষেত্রে যে সমস্ত যন্ত্রাংশ দেহের মধ্যে বসানোর প্রয়োজন হয় সেসব যাতে সঠিকভাবে পাওয়া যায় তার বিষয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
অনেক সময়ে দেখা যায়, সরকারিভাবে যে সব ওষুধ দেওয়া হয় ও ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানে যেসব ওষুধ রয়েছে তার বাইরেও অনেক ওষুধ রোগীর প্রয়োজন হয়। মা ও শিশুদের ক্ষেত্রে সেই সমস্ত ওষুধ যাতে স্থানীয়ভাবে কেনা যায় সেই বিষয়েও এদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মেনে স্থানীয় ভাবে টেন্ডার করে তা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলি সব সময়েই রোগীদের আত্মীয়দের ভিড়ে ঠাসা থাকে। নিরাপত্তা রক্ষীরা গেটে থাকলেও তারা ভিড় সামলাতে পারেন না বলে অভিযোগ।