সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
বানারহাট থানার আইসি বিপুল সিনহা বলেন, যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মহম্মদ আবু বক্কর নামে এক মাংস বিক্রেতাকে এদিন বিন্নাগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের বাড়ি বিন্নাগুড়িতে। ধৃত জেরায় ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ বিন্নাগুড়ির একদল মহিলা বিন্নাগুড়ি বাজারে ওই মুরগির মাংস বিক্রেতার দোকানে এসে জড়ো হন। সেখানে তার কাছে অপকর্মের কথা জানতে চাইলে সে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। এরপর মহিলারা তাকে জুতোর মালা পরিয়ে দেন। তাকে রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে মারতে মারতে নিয়ে যান মহিলারা। সেসময় একদল উত্তেজিত জনতা তার দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। ক্ষুব্ধ মহিলাদের একজন জানিয়েছেন, তাঁর নয় বছরের শিশুকন্যা গতকাল বাজারে এলে ওই পঞ্চাশোর্ধ আবু বক্কর ১০ টাকা মেয়ের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল। এরপর তার উপর যৌন নির্যাতন করে। পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে মাকে পুরো ঘটনার কথা জানায়। শিশুটির মা প্রতিবেশীদের ঘটনার কথা জানান। এতে স্থানীয় মহিলারা ক্ষিপ্ত হয়ে এদিন দুপুরে অভিযুক্তের দোকানে এসে নোংরামি নিয়ে জবাব চান। তারপরই মাংস বিক্রেতাকে গণপিটুনি দেওয়া শুরু হয়। লাঠি, ঝাঁটা, জুতো, যার কাছে যা ছিল তাই দিয়ে মহিলারা ওই মাংস বিক্রেতাকে মারতে থাকেন। ক্ষুব্ধ মহিলারা বলেন, ধৃতের বিরুদ্ধে আগেও অনেক শিশুকন্যার সঙ্গে এধরনের অভব্য আচরনের অভিযোগ উঠেছিল। দীর্ঘদিন ধরে ধৃত এধরনের নোংরা কাজে যুক্ত রয়েছে। শিশুদের যৌন নির্যাতনে জড়িত থাকলেও বিষয়টি আগে সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। অনেকেই লজ্জায় ঘটনার কথা অভিভাবকদের বলেনি। এদিন পরে পুলিস এসে মাংস বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় বাসিন্দারা তার চরম শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হন। পুলিস বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় বিন্নাগুড়ির বাসিন্দারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।