সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কৌশিক বসু বলেন, এখনও পর্যন্ত যেভাবে উৎপাদন হচ্ছে তাতে আমরা খুবই আশাবাদী এবার ভালো উৎপাদন হবে। বিশেষ করে ফার্স্ট ফ্ল্যাশের চা উৎপাদন খুবই ভালো হয়েছে। এই চা ৯০ শতাংশই বাইরে যায়। গত কয়েক বছরের যেভাবে উৎপাদন মার খেয়েছিল তার থেকে আমরা এবার বেরিয়ে আসতে পারব। প্রথম দেড়-দু’মাসের মধ্যে প্রায় বারো লক্ষ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।
নানা কারণে ক্রমশ উৎপাদন কমে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন চা বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এবার আশার আলো জাগিয়েছে। এবার মার্চের প্রথম দিকেও পাহাড়ের আবহাওয়া খুব একটা অনুকুলে ছিল না। রাতের পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রাও কম থাকায় চায়ের উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভালো নয়। কিন্তু মার্চের শেষ থেকে তাপমাত্রার বদল হয়। চা উৎপাদনের পক্ষে অনুকুল আবহাওয়া হয়। ফার্স্ট ফ্ল্যাশের চা উৎপাদন উল্লেখযোগ্য জায়গায় যায়। চা বিশেষজ্ঞদের মতে, দেড় দু’মাসের মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ কেজি চা উৎপাদন উল্লেখযোগ্য। এই ট্রেন্ড বজায় থাকলে এবার অতীতের রেকর্ড ছাড়াবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ফার্স্ট ফ্ল্যাশের চায়ের কদর সবচেয়ে বেশি। যার দর ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা কেজি ওঠে। এই চা আমেরিকা, জার্মান, জাপানে যায়।
দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিঁয়াংয়ে মোট ৮৭টি চা বাগানে এই চা হয়। এর মধ্যে চারটি চা বাগান বন্ধ রয়েছে। সবমিলিয়ে ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর এলাকায় চা বাগান রয়েছে। মোট উৎপাদনের ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ চা বাইরে যায়। গত কয়েক বছরে উৎপাদন ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ উৎপাদন কমে গিয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৪ সালে দার্জিলিং চায়ের উৎপাদন হয়েছিল ১০০ লক্ষ কেজি, গত ২০১৫ সালে চায়ের উৎপাদন হয়েছিল ৯০ লক্ষ কেজিতে, ২০১৬ সালে উৎপাদন কমে হয়েছে ৮০.৯৬ লক্ষ কেজি। কিন্তু এবার অল্প সময়ের মধ্যেই এই উৎপাদনে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে চা শিল্পে। চা বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি বছরই উৎপাদন উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যাচ্ছে। কিন্তু এবারই পরিস্থিতি অন্যরকম। দার্জিলিং টি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত চায়ের উৎপাদন ভালো হতে গড়ে বছরে ২০০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টির প্রয়োজন। কিন্তু মার্চ মাসের শুরু থেকেই পাহাড়ে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। এপ্রিলে ১০০ থেকে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তাপমাত্রাও চা উৎপাদনের অনুকুলে রয়েছে।