সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রাধিকা বর্মন বলেন, ১০ বছর আগে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে রাস্তায় পাথর বিছানোর কাজ হয়েছিল। তবে রাস্তাটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় এখনও তা বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে বহুবার নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক স্তরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা রংলাল সিংহ, বয়রানি সিংহ প্রমুখরা বলেন, আমাদের এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা ১০ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এই রাস্তা দিয়ে দৈনন্দিন যাতায়াত করতে গিয়ে আমরা নাজেহাল হয়ে পড়ছি। তার উপর রাস্তা বেহাল থাকায় কোনও যানবাহন আসতে চায় না। ফলে নকশালবাড়ি থেকে এখানে আসতে গেলে টোটো নিয়ে দীর্ঘপথ ঘুরে আসতে হয়। এজন্য দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হয়। বহু অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও এবিষয়ে কোনও মহলের হেলদোল নেই।
মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের গৌতম ঘোষ বলেন, আমরা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তা সংস্কারের আবেদন পাঠিয়ে ছিলাম। এসজেডিএ’র আধিকারিকদের সঙ্গে এনিয়ে কথাও হয়েছে। পুরো বিষয়টি প্রক্রিয়ায় মধ্যে আছে। শীঘ্রই রাস্তাটি সংস্কার হয়ে যাবে।
নকশালবাড়িব বিডিও বাপী ধর বলেন, আমাদের কাছে ফান্ড না থাকায় আমরা রাস্তাটি সংস্কার করতে পারছি না। এবিষয়ে আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত ও মহকুমা পরিষদকে জানিয়েছি।
নকশালবাড়ির রঞ্জিত মোড় থেকে ছোট মণিরামজোত পর্যন্ত ৫ কিমি এই রাস্তার উপর কালুয়াজোত, লালিজোত, কোটিয়াজোত প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দারা নির্ভরশীল। এছাড়া সীমান্তবর্তী নেপালের অধিকাংশ মানুষ এবং ছোট মনিরামজোতে এসএসবি’র বর্ডার আউট পোস্টে যেতে জওয়ানদের এই পথই ব্যবহার করতে হয়। কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় এখানকার কৃষকদের কৃষিজ পণ্য নকশালবাড়িতে নিয়ে যেতে হলেও তাদের এই রাস্তার উপর নির্ভর করতে হয়। নকশালবাড়ি থেকে নির্মাণ সামগ্রী আনা নেওয়া, অসুস্থ রোগী আবার রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় পাথর সরে গিয়ে এবড়ো খেবড়ো আকার নিয়েছে। ফল সাইকেল, বাইক, রিকশ্, টোটো, অটো নিয়ে চলাচল করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।