শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া আয়েশার রেকর্ড করা প্রায় দু'মিনিটের ওই ভিডিওটিতেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'যে সিদ্ধান্ত আমি নিতে যাচ্ছি, এর জন্য কেউ আমাকে চাপ দেয়নি। বুঝলাম ভগবান আমাকে ছোট্ট জীবনই দিয়েছেন। বাবা, তুমি আর কত লড়বে? মামলা তুলে নাও। যে স্বাধীনতা চায় তাঁকে মুক্ত করে দাও।' এরপর হাসিমুখে আয়েশার আরও বক্তব্য, 'আমি আমার জীবন শেষ করতে চলেছি। আল্লার সঙ্গে দেখা হবে ভেবে আমি খুশি। দেখা হলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করব, আমি কী ভুল করেছি? আমার দোষ কী?' আয়েশার শেষ মূহূর্তের উক্তি, 'এমন সুন্দর একলা নদীর কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে যেন এই নদী নিজের মধ্যে জাপটে নেয়। আমি হাওয়ার মতো উড়ে যেতে চাই। ভেসে যেতে চাই।'
আয়েশার পরিবারের অভিযোগ, পণের জন্য শ্বশুরবাড়ির অনবরত চাপেই এভাবে নিজের জীবন শেষ করেছেন তিনি। মেয়ের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন তাঁর বাবা লিয়াকত আলি। তিনি জানিয়েছেন, রাজস্থানের জালোরের বাসিন্দা আরিফ খানের সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে হয়েছিল আয়েশার। বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য ক্রমাগত চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। কিছু টাকা দেওয়াও হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি তা সত্ত্বেও আরিফের সঙ্গে তুমুল অশান্তি হয় আয়েশার। এরপরই আহমেদাবাদে ফিরে আসে আয়েশা।