শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
এবার কোভিড পরিস্থিতিতে ভোটের কারণে সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের নানা বিধিনিয়ম। যা ঠোঁটস্থ রাখতে হবে ভোটকর্মীদের। বিশেষত, প্রিসাইডিং অফিসার স্তর থেকে মাইক্রো অবজারভার, সেক্টর ইনচার্জদের। তার জন্য নির্বাচন কমিশনের স্রেফ দু’দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণই নয়, দিতে হবে পরীক্ষাও। কমিশন যাচাই করে নেবে, নতুন বিধিনিয়ম সম্পর্কে কে কতটা জানেন। তাই ইয়ার এন্ডিংয়ের চাপ সামলে সে বিষয়ে পড়াশোনা করতে কর্মীদের অধিকাংশই অনাগ্রাহী বলেই অভিযোগ।
অন্যদিকে, প্রশিক্ষণের সময় অপর্যাপ্ত ও নিন্ম মানের খাবার জুটছে বলেও ভোটকর্মীদের একাংশের অভিযোগ। প্রশিক্ষণের দিন প্রত্যেকের জন্য ১৭০ টাকা ডিএ ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই মতো রাজ্যের নোডাল অফিসারদের কাছে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই টাকায় প্রশিক্ষণের দিন পর্যাপ্ত খাবার দেওয়ার কথা। কিন্তু তা ঠিক মতো দেওয়া হচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোটকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, সকাল থেকে প্রায় সন্ধে, প্রশিক্ষণের দিন খেতে দেওয়া হচ্ছে স্রেফ একটি ঠান্ডা পানীয়, জেমস, চকোলেট, দু কাপ চা আর বিস্কুট।
এতো গেল প্রশিক্ষণ। এর পর ভোটের দিন উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলে ডিউটির আশঙ্কাও কর্মীদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। কোভিডের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হওয়ার পাশাপাশি বহু স্কুল বন্ধ রয়েছে। তাই দীর্ঘদিন অব্যবহৃত টয়লেট, বাথরুমের বর্তমান অবস্থা কেমন, তা সহজেই অনুমেয়। অথচ ভোটের দুদিন আগেই সেখানে ডিউটিতে যেতে হবে। ফলে আতঙ্কিত ভোটকর্মীরা। তবে ক্ষোভ জমলেও ডিউটি এড়ানোর কোনও উপায় নেই। অকারণে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে ঘাড়ের ওপর ঝুলছে কমিশনের শাস্তির খাঁড়া। খোয়া যেতে পারে চাকরিও। তাই একরাশ ক্ষোভ, দুশ্চিন্তা নিয়েও চুপ করে আছেন ভোটকর্মীরা।