শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
টানা বৃষ্টিতে হায়দরাবাদের রাস্তাগুলি দৃশ্যত নদীর চেহারা নিয়েছে। বিশেষ করে পুরনো হায়দরাবাদের অবস্থা ভয়াবহ। ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে সেনা তলব করা হয়েছে। বুধবার থেকে জলের তোড়ে বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৮ জনের ভেসে যাওয়ার খবর মিলেছে। রাত পর্যন্ত তাঁদের হদিশ মেলেনি। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলের তোড়ে রাস্তা দিয়ে মানুষের ভেসে যাওয়ার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। রাজ্যে প্রায় ছ’হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ।
অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটকের সঙ্গে হায়দরাবাদের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ফলে বড় ধাক্কার মুখে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্র। রাজধানী হায়দরাবাদের পাশাপাশি তেলেঙ্গানার বাকি অংশ থেকেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। অতি ভারী নিম্নচাপের জেরে বহু এলাকা জলমগ্ন। ক্ষতির মুখে পড়েছে খেতের ফসলও। জোর কদমে চলছে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। মুখ্যসচিব সোমেশ কুমার বলেন, ৬১টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও খোলা হবে। প্রায় দেড় লক্ষ খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি, হায়দরাবাদ শহরে অন্নপূর্ণা ক্যান্টিন থেকেও দুর্গত মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে উঠেছে কর্ণাটকেও। রাজ্যের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় সব বড় ড্যামের ফ্লাডগেটই খুলে দিতে হয়েছে। ফলে বহু গ্রাম জলের তলায়। ভীমা নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে কালাবুর্গি ও ওয়াদগির জেলা। কৃষ্ণা নদী ফুলে ফেঁপে ওঠায় রায়চূড় জেলার দেবসুগুর অঞ্চলের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সরকারি সূত্রে খবর, ভারী বৃষ্টির জেরে রাজ্যে অন্তত ৫১৫টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে ৩৬টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রায় নিয়েছেন ৪ হাজার ৭৮২ জন। বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার খানোতা গ্রামে জলের তোড়ে অন্তত চারজন ভেসে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পুলিসের তরফে একথা জানানো হয়েছে। পার্শ্ববর্তী সোলাপুর ও কোলাপুর জেলাতেও বহু এলাকা জলমগ্ন। রাতভর বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে গিয়েছে মুম্বইয়ের বেশ কিছু এলাকাও। তবে বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টি কমেছে। জল নামতেও শুরু করেছে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। প্রবল বর্ষণে ডুবে গিয়েছে করাড়-ভিটা সড়কপথ। বৃহস্পতিবার তোলা পিটিআইয়ের ছবি।