বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
অন্যদিকে, এবার যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেখানে রাজ্যসভায় বিজেপির কিছুটা শক্তিক্ষয় প্রায় নিশ্চিত। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ আর রাজস্থান এখন কংগ্রেসের কব্জায়। তাই এবার রাজসভায় কংগ্রেসের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও কংগ্রেস জোট সরকার চালাচ্ছে। একের পর এক রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয় সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বাড়ার পথে প্রধান অন্তরায়। তবে এই ভোটের জেরে কংগ্রেস বা বিজেপি, কোনও দলই রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারবে না। রাজ্যসভার মোট আসন সংখ্যা ২৪৫। তার মধ্যে ২৩৩ টি আসনে ভোট হয়। বাকি ১২জন রাষ্ট্রপতির মনোনীত প্রার্থী। সেই হিসেবে বর্তমানে রাজ্যসভায় বিজেপি এমপির সংখ্যা ৮২। কংগ্রেসের ৪৬। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে লোকসভায় ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বিজেপি যেকোনও বিল পাশ করিয়ে নিলেও রাজ্যসভায় এসে বিরোধীদের সামনে হোঁচট খেতে হয়। এবার তা আরও বাড়বে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।
এদিকে, রাজ্যসভার ভোট ঘোষণা হতেই আগামীকাল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকলেন দলের সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধী। বুধবার সকালে ওই বৈঠক বসবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৬ মার্চ থেকে মনোনয়ন পেশ করা যাবে। ১৩ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। ১৮ মার্চ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ২৬ মার্চ সকাল ন’টা থেকে বিকাল চারটে পর্যন্ত ভোটদান চলবে। গণনা শুরু হবে ওই দিনই বিকেল পাঁচটা থেকে। ফলাফল ঘোষণাও সেদিনই। ব্যালট পেপারে কমিশনের ঠিক করে দেওয়া নির্দিষ্ট বেগুনী রঙের পেন দিয়েই ভোট দিতে পারবেন রাজ্য বিধানসভার বিধায়করা।
পশ্চিমবঙ্গের যে পাঁচটি আসনে ভোট হবে, তার মধ্যে বর্তমানে চারটিতে রয়েছেন তৃণমূলের যোগেন চৌধুরী, কে ডি সিং, মণীশ গুপ্ত এবং আহমেদ হাসান। এছাড়া নির্দল হিসেবে রয়েছেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, খালি হওয়া আসনগুলির মধ্যে মণীশ গুপ্তকে ফের প্রার্থী করা হতে পারে। বাকি চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী আগেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর এমপি হতে চান না। তাই বাকি আসনগুলিতে তৃণমূলে কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।