কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি ওরলিতে। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। গতকাল রাতে মধ্যপ্রদেশের কাটনি যাওয়ার জন্য তিনি ট্রেনে চেপে কুরলা স্টেশনে আসেন। সেখান থেকে হাঁটা পথেই তিনি লোকমান্য তিলক টার্মিনাসে যাচ্ছিলেন। কুরলা ব্রিজে এসে তিনি পথ হারিয়ে ফেলেন। তখনই পথচলতি এক যুবক তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। মহিলাকে অনুসরণ করতে বলে সে। সেই মতো তিনিও ওই যুবকের পিছু নেন। হার্বার লাইনের কাছাকাছি গিয়ে একটি ঝোপের মধ্যে ঢুকে পড়ে সে। বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন ওই মহিলা। পুলিসকে তিনি জানিয়েছেন, কিছু পরেই দুই যুবক মাদক জাতীয় কিছু সেবন করে তাঁর সামনে এসে পথ আটকায়। জোর করে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই ওই মহিলাকে দুই যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিস জানিয়েছে, অন্য দুই অভিযুক্ত বাইক আরোহী। তারাও ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে দাঁড়ায়। তারপর মহিলাকে ধর্ষণ করে চম্পট দেয়। যাওয়ার সময় মহিলার কাছ থেকে নগদ ৩ হাজার টাকা ও ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি সোনার চেন ছিনতাই করে বলে অভিযোগ।
ঘটনাস্থল থেকে কোনওরকমে হেঁটে স্থানীয় এক মহিলার বাড়িতে পৌঁছান ওই মহিলা। তিনিই তাঁকে থানায় নিয়ে যান। ইন্সপেক্টর বিলাস সিন্ধে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিবরণ শুনে সাহায্যকারী মহিলাই এক যুবককে চিনতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করেন। ওই যুবক তাঁর বাড়ির পাশেই থাকে বলে তিনি জানান। সেই মতো রাতেই অভিযান শুরু হয়। প্রথমে ওই মহিলার কথামতো অভিযুক্ত এক যুবকের বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। তাঁকে গ্রেপ্তার করার পরই বাকি তিনজনের হদিস মেলে। মাত্র এক ঘণ্টার অভিযানেই চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর।