কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
সোমবার সকালেই ট্যুইটারে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। পরে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন অরবিন্দ সাওয়ান্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঠানো ইস্তফাপত্রটির প্রতিলিপিও সাংবাদিকদের দেখান তিনি। তাঁর কথায়, ‘ওরা (বিজেপি) মিথ্যা বলে আমার দলকে আঘাত করেছে। যেহেতু ওদের উপর আমাদের আর কোনও আস্থা নেই, তাই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ বিজেপির বিরুদ্ধে শিবসেনা এবং থ্যাকারে পরিবারের ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগও তুলেছেন ওই নেতা। সত্যিই কি বিজেপি-শিবসেনার দীর্ঘদিনের জোট ভেঙে গেল? এই প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হয় অরবিন্দ সাওয়ান্তকে। তিনি অবশ্য সাফ জানান, ‘আমি যখন ইস্তফা দিয়েছি, তখন এর অর্থ আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। শিবসেনার সঙ্গে সমান আসন এবং ক্ষমতা বণ্টনের বিষয়ে রাজি হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এখন তাঁরা তা মানছে না। মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী হিসেবে আমার কাজ চালিয়ে যাওয়া মোটেই নীতিগতভাবে ঠিক নয়।’
১৬ দিন ধরে টানাপোড়েনের পর রবিবার রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির কাছে সরকার গঠন করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় বিজেপি। পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে শিবসেনাকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য এনসিপি এবং কংগ্রেসের সমর্থন লাগবেই উদ্ধবের দলের। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই চেষ্টার প্রাথমিক ধাপ হিসেবেই এনসিপির শর্ত এভাবে মেনে নিতে বাধ্য হল শিবসেনা।