কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
আজ দিনভর পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ছিল হাইভোল্টেজ রাজনৈতিক উত্তাপ। সহারানপুরে মোদি গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করেন। নিকটবর্তী কেন্দ্র গাজিয়াবাদে প্রিয়াঙ্কা রোড শো করে তার জবাব দেন। তীব্র আক্রমণ করেন। গাজিয়াবাদ কেন্দ্রের হেভিওয়েট মন্ত্রী ভি কে সিংয়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী ডোলি শর্মা। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগ থেকে বারাণসী, মধ্যে অবধ অঞ্চল, মা ও দাদার কেন্দ্র রায়বেরিলি আমেথি ঘুরে আজ এলেন পশ্চিমে। রাহুল গান্ধী যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় প্রচারে ছুটে বেড়াচ্ছেন, তখন প্রিয়াঙ্কার এই প্রচার কর্মসূচি থেকেই বোঝা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ঝড় তোলার দায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা আসবেন খবর ছড়াতেই এদিন বেলা বাড়তে ভিড় জমতে থাকে প্রাচীন দুদ্ধেশ্বর শিবমন্দির, ঘণ্টাঘর, শহীদ চক, রামতে রাম চক, হনুমান মন্দির, দাসনা, মালিওয়াড়া হয়ে আম্বেদকর পার্ক। কিন্তু ব্যস্ত দিনে এতগুলি জায়গায় রোড শোয়ের মাঝে দাঁড়ানোর অনুমতি খারিজ করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিস। তাই প্রিয়াঙ্কা চাইলেও যাওয়া হল না প্রাচীন শিবমন্দির এবং হনুমান মন্দির। আম্বেদকর পার্কের কর্মসূচিও বাতিল হল। গাজিয়াবাদের জওহর গেটে ঘণ্টা ঘরের সামনে শহীদ ভগত সিংয়ের মূর্তিতে মাল্যদানের মাধ্যমে শুরু হয় প্রিয়াঙ্কার রোড শো। শুরু থেকে শেষ পথের দূরত্ব দেড় কিলোমিটার মতো। কিন্তু ওইটুকু রাস্তা যেতেই ঘণ্টা খানেক সময় লেগে গেল।
ঘণ্টাঘরে প্রিয়াঙ্কাকে দেখা মাত্রই শুরু হয়ে গেল মহিলাদের শঙ্খধ্বনি। আর পিছনে কংগ্রেসের পতাকা হাতে দলের কর্মী, সমর্থকদের স্লোগান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জিন্দাবাদ। রাহুল গান্ধী জিন্দাবাদ। রাম মোড়ে এসে পৌঁছতেই অবিরল গোলাপ পাপড়ির পুষ্পবৃষ্টি। ২০০ কেজি গোলাপের পাপড়ি কিনে এনে রেখেছিলেন কংগ্রেস সমর্থন ইসমাইল। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে একবার হাত মেলাতে গাড়ির ওপর সমানে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন সমর্থকরা। তাদের থেকে কেবল ফুলের স্তবক গ্রহণই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী এক ভক্তর আব্দার রাখতে পরলেন মালাও। এক মুহূর্তের জন্যও মুখের স্মিত হাসি মেলাল না প্রিয়াঙ্কার। কয়েক ঘণ্টার কর্মসূচিতে মিশন গাজিয়াবাদ টার্গেট রেখে প্রিয়াঙ্কা বললেন, ভেবেচিন্তে ভোট দেবেন। এবার ভোট দেশ গড়ার। কেবল ভাষণে আর ভুলবেন না। তবে তাঁর কথা ঢেকে যাচ্ছিল স্লোগানে। ভাষণকে ছাপিয়ে প্রিয়াঙ্কা জিন্দাবাদ ধ্বনিতে সরব ছিল গোটা রোড শো পর্ব। দেড় ঘণ্টার শোয়ে জনতা প্রিয়াঙ্কায় মেতে গেলেও টেশননে রইলেন এসপিজি, ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেল পুলিস।