কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই আধিকারিকের নাম মহম্মদ সারফারোজ আহমেদ। তিনি রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের আমেদাবাদ শাখায় সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার পদে কর্মরত। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ওই আধিকারিক প্রধানমন্ত্রীকে ‘ফেকু’ বলে সম্বোধন করেন। বিষয়টি তখনই ধরা পড়েনি। আমেদাবাদের একটি স্থানীয় সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া পেজের নির্দিষ্ট স্ক্রিনশট সমেত খবরটি প্রকাশ করে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে রেলমন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। পশ্চিম রেলের পক্ষ থেকে জারি করা এক নির্দেশিকায় [নং-ADC/SW/2019(14)] বিষয়টির উল্লেখ করে বলা হয়েছে, পিএমও থেকে নির্দেশ আসার পরেই রেলের সংশ্লিষ্ট শাখার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, সারা দেশেই সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনওরকম অবমাননাকর পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় করা হচ্ছে কি না, সেই ব্যাপারে পিএমও বরাবরই কড়া নজর রাখে। সেরকম ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয় এবং প্রশাসনিক তদন্তও শুরু করে দেওয়া হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই রেলমন্ত্রক তাঁর কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এহেন কোনও টিকা-টিপ্পনি অথবা মন্তব্য করা থেকে রেলের কর্মীরা যেন নিজেদের বিরত রাখেন। নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, আগামীদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনওরকম মন্তব্য করতে পারবেন না রেলের কর্মী-আধিকারিকেরা। যদি কাউকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এহেন মন্তব্য করতে দেখা যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রশাসনিক কার্যকলাপ শুরু করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে পশ্চিম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবীন্দ্র ভাকর জানিয়েছেন, ‘বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টিই এখন আরপিএফের হাতে রয়েছে। তারাই পুরোটা দেখভাল করছে।’