উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
কোনও আত্মতুষ্টি না রেখে জনস্বার্থে লড়াই আর দুয়ারে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া—এই বীজমন্ত্রেই ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে জোড়াফুল ফোটাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। আর জি কর-কাণ্ডের পর তৃণমূল আরও ঐক্যবদ্ধ, সজাগ ও সতর্ক। তাদের নিজস্ব পর্যালোচনা, আদতে গুটিকয়েক কেন্দ্রের উপ নির্বাচন হলেও এই ভোট রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভোটের মাধ্যমে সিপিএম ও বিজেপিকে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। আর জি কর নিয়ে লাল ও গেরুয়া শিবির যে রাজ্যজুড়ে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে, ইতিপূর্বে সেই অভিযোগ করেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছেন, ‘বাংলায় থাকছে, আর বাংলার বদনাম করছে। বাংলা মা’কে অসম্মান কোনও অবস্থায় মেনে নেব না। মানুষই ওদের জবাব দেবে।’ উপ নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি সেই জবাব পেতে চলেছে বলে দাবি প্রত্যয়ী তৃণমূল নেতৃত্বের। ফলাফল ৬-০ করতে মরিয়া তারা। দলের তরফে বলা হচ্ছে, আর জি কর নিয়ে সিপিএম যতই হইচই করুক, তারা শূন্য আছে, শূন্যই থাকবে। সেই সঙ্গে ছ’টি আসনের মধ্যে বিজেপির হাতে থাকা একমাত্র মাদারিহাট তাদের হাতছাড়া হবে। এক ধাপ এগিয়ে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ভবিষ্যৎবাণীও করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, একুশ সালের থেকেও ছাব্বিশে ভোট কমবে সিপিএম, বিজেপির।
শুক্রবার নৈহাটিতে প্রচারে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। বলেছেন, ‘২০২৬ সালের দ্বিবাস্বপ্ন দেখছেন অমিত শাহ। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই। তাই বিজেপিরও কোনও সম্ভাবনা নেই। ২১ সালে ২০০ আসনের কথা বলে পগারপার হয়েছে বিজেপি। চব্বিশ সালের লোকসভায় ৩৫ বলেছিল। তাও হয়নি। এবার উপ নির্বাচনে ৬টিতেই জিতবে তৃণমূল।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আর আর জি কর নিয়ে সিবিআই নতুন করে কিছু বের করতে পরেনি। এই সূত্রে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের মন্তব্য, ‘কুৎসা, অপপ্রচার, বদনামের জবাব ভোটের বাক্সে বিজেপি আর সিপিএম আগেও পেয়েছে। আবারও পাবে।’