বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
মেকানিক্যাল, সিভিল, ইলেকট্রিক্যালের মতো বিষয়কে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর বিষয় বলা হয়। অধ্যাপকদের মতে, এক সময় এইসব বিষয়ের ব্যাপক চাহিদা ছিল। বিগত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, এগুলির প্রতি টান কমছে পড়ুয়াদের। উল্টে প্রফেশনাল কোর্সের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে তারা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, বেশিরভাগ কলেজের ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন (এনবিএ)-এর অনুমোদন নেই। তাই মোট আসন বাড়ানোর ক্ষেত্রে নানা নিষেধাজ্ঞা আছে। অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই)-এর নিয়ম বলছে, কলেজগুলি তাদের সর্বমোট আসন বাড়াতে পারবে না। তারা মোট আসন অপরিবর্তিত রেখে একটি বিষয়ের আসন কমিয়ে অন্য একটি বিষয়ে বাড়াতে পারবে। অবশ্য তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগবে।
ধরা যাক, একটি কলেজে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১২০টি আসন আছে। কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে রয়েছে ৬০টি আসন। সেই কলেজ চাইলে মেকানিক্যাল থেকে ৬০টি আসন কমিয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে যুক্ত করতে পারবে। এতে গোটা কলেজের মোট আসন বাড়ল না, কিন্তু কম্পিউটারে আসন বাড়ল। কর্তৃপক্ষের কাছে যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেখানে সবাই এরকমই করতে চাইছে।
কেন এই প্রবণতা? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন কম্পিউটারের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এই সব বিষয়ে চাকরির সুযোগ বাড়ছে। দেশজুড়েই এই চিত্র। তাই কোর বিষয়ের আসন সংখ্যা কমাতে চাইছে কলেজগুলি। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সাইবার সিকিউরিটি ইত্যাদি বিষয়ে ঝোঁক বাড়ছে ছাত্রছাত্রীদের। কলেজগুলির বক্তব্য, বিগত কয়েক বছর ধরে দেখা গিয়েছে, মেকানিক্যাল বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সব আসন ভরছে না। ছাত্রছাত্রীরা কম্পিউটার ভিত্তিক কোর্সে ভর্তি হতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এদিকে এইসব কলেজে ইতিমধ্যে ডিজিটাল ইন্সপেকশন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। কারা আসন বাড়ানোর অনুমিত পেল, দ্রুত জানানো হবে।