বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
অপেরা কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, রথের দিনটি আমাদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ওই দিনে বিভিন্ন যাত্রার বুকিং হয়। গ্রামাঞ্চলেও ছোট-মাঝারি অপেরাগুলির অফিসে এসে ওইদিন যাত্রার বুকিং করে বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান। এবার করোনা আবহে কোথাও বায়না হয়নি। শুধু তাই নয়, কেউ একবারের জন্য ফোনও করেনি অপেরা অফিসে। যাত্রা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। লকডাউন শুরু হতেই তাঁদের রুটি-রুজির সমস্ত পথ বন্ধ।
যাত্রা ইউনিয়নের কয়েকজন কর্তা বললেন, চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠই হল যাত্রার ভরা মরশুম। কারণ এই সময় গ্রামবাংলায় চড়ক, গাজন, শীতলা, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের পুজো হয়। এছাড়াও রয়েছে চৈত্র সংক্রান্তি, নববর্ষের উৎসব। ফলে এইসব অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ওই সময় প্রায় প্রতিদিনই গ্রামবাংলায় লেগে থাকে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। যাত্রাও তার বাইরে নয়। কিন্তু এবার এই মরশুমে কোথাও যাত্রা হয়নি। ফলে ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। ফেরত দিতে হয়েছে বায়নার টাকা।
বর্তমানে চিৎপুরে প্রায় ৫০টি অপেরা রয়েছে। সারা রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অপেরার সংখ্যা ধরলে তা ২০০ ছাড়াবে। যাত্রা ইউনিয়ন কর্তাদের বক্তব্য, ২০১৮ সালে রথের দিনে ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। সেদিন প্রায় তিন হাজারের উপর যাত্রাপালার বুকিং হয়েছিল। বায়না হয়েছিল দেড় কোটি টাকারও বেশি। তাঁদের কথায়, এবার রথের দিন বাগবাজারে ফণিভূষণ বিদ্যাবিনোদ মঞ্চে নম নম করে পুজোটুকুই হয়েছে শুধু। অথচ ফি বছর এই দিনে ঘটা করে হয় যাত্রার মহরত। প্রকাশিত হয় ‘যাত্রা দর্পণ’ স্মারক বই। এবার সেসব কিছুই হয়নি। যাত্রা শিল্পী-কলাকুশলীদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর যাত্রাশিল্পে জোয়ার এসেছিল। করোনা তাতে জল ঢেলে দিয়েছে। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কবে থেকে আবার বুকিং শুরু হবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে দিন গুনছেন তাঁরা।