গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, রাজ্যপাল বলেন, এটা খুবই অস্বাস্থ্যকর লক্ষণ। সেটাকে স্বাস্থ্যকর করতে হবে। তবে, প্রথমেই এর কারণ খুঁজতে হবে। অন্য কোনও বিষয়েও তাঁরা ব্যস্ত থাকতে পারেন। এর জন্য এক্সরে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই করতে হবে। তারপর দেখব, সেই রোগের চিকিৎসা আমি নিজে করতে পারি কি না। না পারলে রাজ্য সরকারের সহায়তা নেব। সবই তো ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে, তারা যাতে কেরিয়ারে উন্নতি করতে পারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি যাতে আরও উন্নত হয়, তার জন্যই এসব করছি। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল এই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছেন। আইনী দিকগুলিও খতিয়ে দেখছেন তিনি। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপও করতে পারেন।
মঙ্গলবার বিড়লা মিউজিয়ামে রাজ্যপাল বলেছিলেন, অর্জুনের তিরে পারমাণবিক অস্ত্র ছিল। তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজের মতো করে আরও বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দেন। নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেই তিনি বলেন, আমার কথা আপনাদের বিশ্বাস করতে হবে না, আজ থেকে চার হাজার বছর আগে এদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিত। মহাভারতে সঞ্জয় কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ধারাবিবরণী শুনিয়েছিলেন ধৃতরাষ্ট্রকে। এও বিশ্বাস করতে হবে না। তখন উড়ান-খাটোলা (আকাশযান) ছিল। অর্জুন যে তির ব্যবহার করতেন, তা এখনকার সেরা অস্ত্রগুলির সমতূল। কিন্তু মনে রাখবেন, সংস্কৃত সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত ভাষা। গোটা পৃথিবী এখন এর দিকে তাকাচ্ছে। নাসাও এর স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা ভারতের মহাকাশ গবেষণাকেও গুরুত্ব দেয়। কোনও কিছুকে বিজ্ঞানসম্মত নয় বলা খুবই সহজ।
উপাচার্যদের না যাওয়া সম্পর্কে রাজ্যপালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, উনি তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিরোধী মুখ হয়ে উঠছেন। এটা কি উনি বুঝতে পারছেন না? প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠিও উপাচার্যদের ডেকেছিলেন। কিন্তু তিনি শিক্ষামন্ত্রী বা শিক্ষাসচিবকে বা তাঁদের প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাশ করেছে। সেই মতোই যা হওয়ার হচ্ছে। উনি যদি এরকমই আচরণ করতে থাকেন, আমরাও তাহলে কঠোর অবস্থান নেব। অর্জুনের তির প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যপাল উদ্ভট সব মন্তব্য করছেন। এসব শুনে বিকাশ সিনহার মতো বিজ্ঞানীও হাসছেন। রাজ্যপাল যদি চুপ থাকেন, তাহলেই বেশি সম্মান পাবেন।