গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব রাজেশ আস্থানা রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, আইসিডিএস, অঙ্গনওয়াড়ি, ইন্দ্রধনুষ, জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্প (এনএসএপি) প্রভৃতির মাধ্যমে কত সংখ্যক মানুষ উপকৃত হয়েছেন, সেই তালিকা তৈরি করতে হবে। প্রতিটি গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার মাধ্যমে তা করতে হবে। এই সব প্রকল্পে শিশু ও মা’র পুষ্টির জন্য সহায়তা করা হয়, তাঁদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় এবং বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা ও বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য ভাতা প্রদান করা হয়।
এই সব প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার আগে ৯০ শতাংশ টাকা দিত। কিন্তু মোদি সরকার তা কমিয়ে দিয়েছে। এখন সব প্রকল্পেই কেন্দ্র ৬০ শতাংশ টাকা দেয়। আর বাকি ৪০ শতাংশ টাকা দিতে হয় রাজ্যকে। সেই চিঠি নবান্ন থেকে পঞ্চায়েত দপ্তরে পাঠানো হলেও বর্তমানে ওই সমীক্ষার কাজ হবে না বলে জানা গিয়েছে। নবান্নের মত বুঝেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চান অফিসাররা। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ এলেও এখনই এনিয়ে এগতে চাইছেন না নিচুতলার অফিসাররা। আসলে গত কয়েকদিন ধরে এনপিআর, এনআরসি, সিএএ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হওয়ায় নতুন করে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না নবান্ন।
নবান্নের অগোচরে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও পুরসভা এনপিআর-এর প্রশিক্ষণের জন্য কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশিকাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এনপিআর-এর যাবতীয় কাজকর্ম স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করে নির্দেশিকা প্রকাশ করেন। তার মধ্যে কোনও পুরসভা বা জেলা প্রশাসন সেই কাজ করলে নবান্নের রোষের মুখে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোনও সমীক্ষার কাজ করার ঝুঁকি নিচ্ছেন না অফিসাররা। তাই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে সমীক্ষা করার নির্দেশ এলেও আপাতত তা স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।