গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
গ্রাহকের আঙুলের ছাপ রেশন দোকানের ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস (ই-পস) যন্ত্রে যাচাই করার জন্য আগে আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ করতে হবে। রেশন দোকানে ই-পস যন্ত্রেই এখন এটা করা হচ্ছে। এরপর ওই যন্ত্রে রেশন গ্রাহকদের আঙুলের ছাপ নথিভুক্ত করা হবে। খাদ্য দপ্তর ঠিক করেছে, আগামী দিনে সপ্তাহের দুটি দিনে রেশন গ্রাহকদের আঙুলের ছাপ ই-পস যন্ত্রে নথিভুক্তকরণের কাজ করা হবে। পরিবারে যাঁদের রেশন কার্ড আছে সবারই আঙুলের ছাপ যন্ত্রে নথিভুক্ত করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা। রেশনের খাদ্য সংগ্রহের সময় পরিবারের যে কোনও একজন এসে যন্ত্রে আঙুলের ছাপ দিয়ে সবার জন্য বরাদ্দ খাদ্য সামগ্রী যথারীতি নিয়ে যেতে পারবেন। এই ব্যবস্থায় কোনও রেশন গ্রাহক তাঁর বরাদ্দ খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করা মাত্রই সেই তথ্য খাদ্য দপ্তরের সার্ভারে জমা পড়ে যাবে। ফলে রেশনে সরবরাহ করা খাদ্য বাইরে পাচার হওয়া আটকানো সম্ভব হবে।
খাদ্যদপ্তর পুজোর আগে ও পরে বিশেষ ক্যাম্প খুলে নতুন রেশন কার্ড করার জন্য আবেদনপত্র জমা নেয়। এখন ভর্তুকিতে খাদ্য পাওয়ার রেশন কার্ডগুলি ডাক ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকদের বাড়িতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। প্রায় ৯ লক্ষ কার্ড ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে বলে খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ লক্ষ রেশন গ্রাহক এখন রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় নতুন রেশন কার্ড পাবেন। জানুয়ারি মাসের মধ্যে রাজ্যের মোট রেশন গ্রাহকের সংখ্যা কত হবে সেটা খাদ্য দপ্তরের কাছে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখন জাতীয় ও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় রেশন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি ১৮ লক্ষ। আরও ৩৫ লক্ষ কার্ড দিলেও নতুন গ্রাহকের সংখ্যা খুব বেশি বাড়বে না বলেও খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন। কারণ বেশ কয়েক লক্ষ রেশন কার্ড বিলি না হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েতের কাছে পড়ে আছে। ওই রেশন কার্ডগুলি যাঁদের নামে রয়েছে, তাঁরা অনেকেই কার্ড না পেয়ে ফের আবেদন করেছেন। এবার তাঁরা সবাই ডাকযোগে কার্ড পেয়ে যাবেন। পড়ে থাকা কার্ডগুলি বাতিল হয়ে যাবে। কোন রেশন কার্ডগুলি কার্যকর থাকবে তা আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে চিহ্নিত হবে।
অন্যদিকে, ভর্তুকিহীন খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার জন্য যে বিশেষ রেশন কার্ড হচ্ছে, সেগুলি আবেদনকারীদের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া জানুয়ারি মাসের শেষাশেষি থেকে শুরু হবে বলে খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রায় ২০ লক্ষ আবেদনকারী এই কার্ড পাবেন।