কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এদিন সন্দেশখালির ঘটনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, পুলিসের ভূমিকা নিয়ে সত্যিই অবাক। বলতে বাধ্য হচ্ছি, পুলিস কোথাও ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছে। এত দ্বিধা কেন? ভয়ই বা কিসের? শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, আপনি নিচুতলার কর্মীদের জন্য এত করেন, অথচ ওঁরা কথাই শুনছেন না। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ একাধিক মন্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁদের মোবাইলে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে ভূরি ভূরি এসএমএস আসছে, অথচ পুলিস কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী শুনে বলেন, আমার নামে নাকি ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। পুলিসকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা করছেন কী? অ্যারেস্ট করুন। যেভাবেই হোক পরিস্থিতি শুধরাতে হবে। যাঁরা অন্যের কথা শুনে ঠিকঠাক কাজ করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিসের ব্যাপারে তিনি খুবই অসন্তুষ্ট। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিন-চারটি জেলায় স্থানীয় স্তরে ওসি এবং এস আই-রা ঠিকঠাক কাজ করছেন না। কয়েকটি জায়গায় প্রশ্রয়ের অভিযোগ আসছে। দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। সেই সব অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এদিকে, সরকারি পরিষেবার টাকা এবার সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে ওই নির্দেশ দিয়েছেন। গোটা বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যসচিব মলয় দে’কে। এতদিন কন্যাশ্রী প্রকল্প সহ বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার টাকা স্টেট ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন করে সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে উপভোক্তাদের টাকা দেওয়া হোক। এই সিদ্ধান্তে খুব খুশি সমবায় দপ্তর। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সমবায় ব্যাঙ্কে সেই পরিকাঠামো আছে কি না। তবে কর্মচারীর অভাব রয়েছে বলে সমবায় দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে জঙ্গলমহলের ১৪৫টি প্রাথমিক স্কুলে ২৯০ জন সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এ কথা জানিয়েছেন। গত লোকসভার ভোটে জঙ্গলমহলের ভোটের ফলাফল খারাপ হয়েছে। তা মেরামতির জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অভিযোগ করেন, রাজ্যে কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। রেকে করে কয়লা আসতে পারছে না। ফলে বিদ্যুৎ জোগানে সমস্যা হতে পারে। ওরা (কেন্দ্রীয় সরকার) চাইছে, যাতে লোডশেডিং হয়। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বাঁকুড়ায় পাইপ কেনা হয়েছে, তা আর মাটির তলায় যায়নি। এসব বরদাস্ত হবে না।