কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
১০০ দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ অনেক। কাজ না করে টাকা তুলে নেওয়া, ইচ্ছামতো স্কিম তৈরি, সিডিউলের রেট বাড়িয়ে নেওয়া, পেটোয়া ঠিকাদার দিয়ে কাজ করানো ইত্যাদি নানা অভিযোগে জেলায় জেলায় বহুবার বিক্ষোভ হয়েছে। ১০০ দিনের কাজে নয়ছয়ের ফলে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষোভও রয়েছে। আধিকারিকরা মনে করছেন, এই নয়া ব্যবস্থায় এইসব অনিয়মে অনেকটাই রাশ টানা যাবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়করা নতুন স্কিমের এস্টিমেট তৈরি করতেন। খাতায় কলমে এস্টিমেট তৈরির পর তা ব্লক ও জেলায় পাঠানো হতো। এরপর নির্দিষ্ট ভোটিং পাওয়ার অনুযায়ী ব্লক ও জেলাস্তরের আধিকারিরা ওই এস্টিমেট অনুমোদন করতেন। কিন্তু গত ৩ জুন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে বলেন, ভোটের জন্য এপ্রিল ও মে মাসে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প বন্ধ ছিল। সেইকারণে আমরা এখন অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছি। এখন দ্রুত সেট আপ তৈরি করে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যাতে আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লক্ষ্য পূরণ করতে পারি। কিন্তু সিকিওর সফটওয়্যারের মাধ্যমে এস্টিমেট তৈরি না হওয়া পর্যন্ত কোনও কাজ শুরু করা যাবে না। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কনভারজেন্স স্কিম তৈরির ক্ষেত্রেও সিকিওর সফটওয়্যারকে বাইপাস করা যাবে না। নির্দেশে বলা হয়েছে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকায় কোনও স্কিম হলে তার এস্টিমেট সিকিওর সফটওয়্যারের মাধ্যমেই তৈরি করতে হবে। রাজ্যের অনুমোদন ছাড়া সিকিওর সফটওয়্যারকে এড়িয়ে কোনও স্কিমে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা খরচ করা হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। এমনকী খরচ হওয়া টাকাও উদ্ধার করতে হবে।
নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, কোনও স্কিম নেওয়ার আগে দেখতে হবে তাতে অ্যাসেট তৈরি হচ্ছে কি না। অ্যাসেট তৈরি হবে না এমন স্কিম নেওয়া যাবে না। এছাড়া নদী সংস্কার, কৃষির উৎপাদন বাড়াতে সেচখালের উন্নতি, বৃক্ষরোপণ, সলিড অ্যান্ড লিকুইড ওয়েস্ট ম্যনেজমেন্ট, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি সহ মোট ১৪টি বিষয়ে স্কিম তৈরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আধিকারিকদের দাবি, চারপাতার চিঠির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সিকিওর সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্কিমের এস্টিমেট তৈরির নির্দেশ। কারণ, এই ব্যবস্থা এবারই প্রথম। এর ফলে প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়বে। অনেক ক্ষেত্রে কাগজে কলমে স্কিমের এস্টিমেট করা হলেও বাস্তবে কাজ না করেই পেমেন্টের অভিযোগ ওঠে। এবার তাতেও রাশ টানা যাবে। এছাড়া প্রচুর কাগজপত্রের ভিড়ে কোনও স্কিমের এস্টিমেট হারিয়ে যাওয়া, কোনও কাজের ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো সিডিউল রেট পরিবর্তনের আর সুযোগ থাকবে না। তবে নতুন ব্যবস্থায় পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়করা কত দ্রুত সড়গড় হচ্ছেন তার উপর কাজের গতি নির্ভর করবে।