কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
রাজ্যে পালাবদলের পর কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব যত বেড়েছে, ততই কাছাকাছি এসেছে বামেরা। শাসক জোট থেকে বেরিয়ে আসার পর দুই শিবির এতটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে যে, বিগত বিধানসভা ভোটে বাম ও কংগ্রেস আসন সমঝোতা করে ভোটে লড়ে। উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সিপিএম সহ ফ্রন্ট শরিকদের সাংগঠনিক অবক্ষয় দ্রুত বাড়তে থাকে। পাশাপাশি কংগ্রেসের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূলের যোগ দিতে শুরু করায় এই শতাব্দীপ্রাচীন দলও অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপি এবং রাজ্যের ক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরোধিতার অভিন্ন রাজনৈতিক অবস্থান কংগ্রেস ও বামেদের সুসম্পর্কের পথ আরও সুগম করে দেয়। যার জেরে সপ্তদশ লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৪২টি আসনে পারস্পরিক বোঝাপড়ার লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হয়েছিল। বামেদের জেতা মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জ আসন কংগ্রেস চেয়ে বসায় দুই শিবিরের আলোচনা এগতে বাধা পায়। কংগ্রেস হাইকমান্ড তথা রাহুল গান্ধী প্রদেশ সংগঠনকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে বাংলায় তৃণমূলের বিরোধিতায় রাশ টানতে চাননি। অথচ রায়গঞ্জে দীপা দাশমুন্সি গোঁ ধরে থাকায় রাহুল ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপ করেন। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও রাহুলের আলোচনায় শেষ পর্যন্ত রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ বামেদের ছেড়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত হয়। তাতেও দমেননি দীপা। একইভাবে দার্জিলিং আসনে বিধায়ক শঙ্কর মালাকার দাবি জানিয়ে চাপ তৈরি করতে থাকেন। প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র সহ বেশ কয়েকজন নেতার পরোক্ষ মদতে দীপা-শঙ্কর নিজেদের দাবিতে অনড় হয়ে থাকেন। এই বিতর্কের মধ্যেই বামফ্রন্ট একতরফাভাবে দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি বীরভূমে কংগ্রেসের চিকিৎসক সেলের নেতাকে তাঁদের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করে দেয়। তাতেই জোট নিয়ে আলোচনা ভেস্তে যায়। ফলে ৪২ আসনেই কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট তাদের প্রার্থী দেয়। রাজ্যে চতুর্মুখী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনিবার্য হয়ে ওঠে।
রাজ্যের বিরোধী শিবিরের এই ছত্রভঙ্গ অবস্থার মধ্যেই রায়গঞ্জে দীপা দাশমুন্সির প্রচারে আসছেন রাহুল। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কেরলে সিপিএমের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি স্বয়ং। তাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এবং সিপিএমের সম্পর্ক বেশ তিক্ত। সিপিএম নেতা প্রকাশ করাত ইতিমধ্যেই রাহুলের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন। সেই পটভূমিতে রায়গঞ্জে রাহুল কী বলবেন, তা নিয়ে কৌতূহল দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। বিশেষত, বিগত লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কক্ষ সমন্বয়ে বামেদের তরফে সেলিম বিজেপি তথা হিন্দুত্ববাদীদের বিরোধিতায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই সেলিমের বিরুদ্ধে ভোট চাইতে যাওয়াটা রাহুলের পক্ষেও বেশ চাপের বলেই মনে করা হচ্ছে। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে একসঙ্গে তৃণমূল ও বামেদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে কংগ্রেস সভাপতি কী বার্তা দেন, তা নিয়ে কৌতূহলী সব মহল।