কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার মুকুটমণি অধিকারীকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একমাস আগে স্বাস্থ্যভবনে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। বিরোধী দলের হয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছি বলেই ইচ্ছাকৃতভাবে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে না, অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, নতুন চিকিৎসকদের ধরে রাখতে রাজ্য সরকার কয়েক বছর আগে রুল পরিবর্তন করে একটি নিয়ম এনেছিল। যদিও তাতে পাঁচ বছরের বন্ড থাকার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই বলেও দাবি মুকুটমণিবাবুর। মনোনয়নপত্র জমা করার দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই টেনশন বাড়ছে তাঁর। যদিও তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব বিষয়টি দেখভাল করছে। আশা করছি, দু-একদিনের মধ্যে এই জটিলতা কেটে যাবে। আপনারা কি হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করছেন? জবাবে মুকুটমণি অধিকারী বলেন, এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। কারণ, এর সঙ্গে আমাদের দলের গরিমা যুক্ত রয়েছে। ফলে পার্টি যেমন নির্দেশ দেবে, তেমনটাই হবে। দল যদি প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়? একইভাবে জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন মুকুটমণিবাবু। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা অজয় রায় বলেন, সার্ভিস রুল অনুসারে সরকারি চাকরিতে যোগদানের পাঁচ বছরের মধ্যে পদত্যাগ করা যায় না। এটাই নিয়ম। কারও মনে হলে আদালতে যেতে পারেন।
যদিও প্রশ্ন উঠছে, এতদিন হয়ে গেলেও রানাঘাটের প্রার্থীর এই সরকারি কাগজপত্র সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কেন উদ্যোগী হলেন না বিজেপি নেতারা? শেষলগ্নে প্রার্থী পরিবর্তন করলে দলের সম্মান অনেকটাই ক্ষুন্ন হবে। যদিও মুকুটমণিবাবুর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য আমরা সকলে ব্যস্ত ছিলাম। তবে বিষয়টি দিল্লির নেতারা জানেন, সেই মতো প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়কে নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক পেশায় চিকিৎসক জয়ন্তবাবুর পদত্যাগপত্র গ্রহণ ঘিরেও স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। কিন্তু মনোনয়নপত্র পেশের একদম শেষদিনে তা অনুমোদন করা হয়। যদিও বিকল্প হিসেবে ওই কেন্দ্র থেকে দীপেন প্রামাণিক বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। এখন দেখার, মুকুটমণির পরিণাম কী হয়। প্রসঙ্গত, রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শাসকদলের সদ্য প্রয়াত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালি বিশ্বাস।