কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
এদিন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, দু’টি রেড পান্ডার বদলে জার্মানির বার্লিনের চিড়িয়াখানা থেকে এই পাঁচটি জন্তুকে আনা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ভুটানের জাতীয় প্রাণী এই টাকিন। বড় আকৃতির ছাগলজাতীয় প্রাণীটি বিশ্বে শুধুমাত্র ভারত-চীন-মায়ানমার-ভূটানের বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকার জঙ্গলে পাওয়া যায়। তবে আইইউসিএনের হিসেবে বিশ্বে এই প্রাণীর সংখ্যা ‘বিপজ্জনক’ তালিকাভুক্ত।
স্টেট জু অথরিটির এক কর্তা জানান, অনেকদিন ধরেই তাঁরা টাকিনকে দার্জিলিং জু’তে আনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। অবশেষে বার্লিনের চিড়িয়াখানার সঙ্গে সবরকম চুক্তি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার রাতেই এই প্রাণীগুলি কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে যাবে। তারপরে সেগুলিতে গাড়িতে করে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় পাঠানো হবে। তবে কবে থেকে সেগুলি দর্শকদের সামনে প্রদর্শিত করা হবে, তা এখনও ঠিকই হয়নি।
তবে সূত্রের খবর, আপাতত দার্জিলিংয়ে পৌঁছনোর পর সেগুলিকে কোয়ারেন্টাইনে বা আলাদা করে রাখা হবে। এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য আগামী প্রায় এক মাস এভাবেই রাখা হবে। আগামী গরমের সময় যখন দর্শকরা দার্জিলিং ঘুরতে যাবেন, তার আগে অবশ্য এগুলিকে খাঁচায় ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, যে টাকিনগুলি আনা হচ্ছে, তার মধ্যে তিনটি পুরুষ এবং দুটি মহিলা রয়েছে। বার্লিনের চিড়িয়াখানায় সেগুলিকে চার্লস, ক্লেরি, ড্যানি, রামোনা এবং রক নামে ডাকা হয়। কিন্তু এখানে নতুন করে তাদের কোনও নামকরণ করা হবে কি না, সেবিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। যেহেতু এগুলি বিরল প্রাণী, তাই সেগুলির সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। যে পাঁচটি প্রাণী আসছে, সেগুলির বয়স সাত মাস থেকে তিন বছরের মধ্যে। তাই ভবিষ্যতে দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় এদের প্রজনন করানোরও ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে বলে স্টেট জু অথরিটির ওই কর্তা জানান। তিনি আরও দাবি করেন, এই প্রথম ভারতের কোনও চিড়িয়াখানায় টাকিন নামক এই পশুকে দর্শকদের দেখার জন্য রাখার উদ্যোগ নেওয়া হল। এদিকে, টাকিনের বদলে দুটি রেড পাণ্ডা দেওয়ার কথা রয়েছে বার্লিনের চিড়িয়াখানাকে। সেগুলি এখনও পাঠানো হয়নি। আপাতত ঠিক হয়েছে, আগামী মার্চের মাঝামাঝি সেগুলিকে জার্মানি পাঠানো হবে।