শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশাল মাহাতর বাবা বিজয় মাহাতও ২০১২ সালে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন। তিনিও এক সময়ে এলাকার ‘ডন’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। লোহার মার্কেটের দখল ছিল তাঁর হাতেই। স্বাভাবিকভাবেই বিজয়ের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল বিভিন্ন দুষ্কৃতীর। বাবার অবর্তমানে বিশাল সেই পথকেই বেছে নিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, এই এলাকার আরেক যুবক বিক্রম গুপ্তার সঙ্গে দুষ্কৃতীদের একাংশের ওঠাবসা রয়েছে। বিশাল ও বিক্রম দু’জনেই এলাকায় লোকলস্কর দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছিল। মূল গোলমালের সূত্রপাত মাস দেড়েক আগে। পুলিস জানতে পেরেছে, একদিন বিক্রম মদ খেয়ে বিশালের বাড়ির সামনে এসে তাঁর বাবার নাম ধরে গালাগালি দেয়। বিক্রমের ঘুসুড়িতে সোনার দোকান এবং স্থানীয় বজরংবলি মার্কেটে লোহার ব্যবসা রয়েছে। বিশাল তাঁর বাবার নামে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুনে তাকে পাল্টা চেপে ধরে। পরে জবাব চাইতে চলে যান বিক্রমের ঘুসুড়ির দোকানে। সেখানে দু’জনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলার সময় বিশাল বিক্রমকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকে বিক্রম প্রতিশোধ নেওয়ার ছক কষতে থাকে। এদিকে, বিশাল ও বিক্রমের দুই বাড়ির মধ্যে আগে থেকেই যাতায়াত ছিল। কারণ দু’জনের বোন পরস্পরের বন্ধু। তাঁরাই গোলমালের খবর পাওয়ার পর দু’জনকে বুঝিয়ে শান্ত করেন এবং মিটমাট করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ততদিনে বিক্রম বিশালকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলে। এ নিয়ে আরেক অভিযুক্ত রোহিত জয়সওয়ালের সঙ্গে তার পাকা কথাও হয়ে যায়। রোহিতই বিক্রমকে মনু আনসারির কাছে নিয়ে যায়। তারপর প্রায় দু’লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিশালকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়। জানা গিয়েছে, বিশালকে খুনের জন্য পরপর কয়েকদিন এলাকায় রেইকি করে আততায়ীরা। যে বাইকটি তারা ব্যবহার করেছিল, সেটির নম্বর প্লেট বদল করে দিয়েছিল তারা।
প্লেট বদলের খবর জানা যায় পুলিসি তদন্তে। সিসিটিভিতে যে বাইকের ছবি পাওয়া গিয়েছিল, তার সূত্র ধরেই ভুয়ো নম্বর প্লেটের খোঁজ মেলে।
গত শুক্রবার ছিল শীতলামায়ের স্নানযাত্রা। ঘুসুড়ি সহ উত্তর হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় সেদিন ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিসের বড় অংশ ব্যস্ত থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে সুপারি কিলাররা। তবে মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিসের তৎপরতায় অপরাধীরা দ্রুত ধরা পড়েছে। এই কারণে এলাকার বাসিন্দারা পুলিসকে ধন্যবাদ জানিয়ে সোমবার বিকেলে মিছিল করেন।